রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জমিতে স্থাপনা নির্মান চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সিনিয়র জজ আদালতে মামলা চলমান থাকা  অবস্থায়, মামলায় উল্লেখিত  তফসিল ভুক্ত জমিতে জোর পূর্বক ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।
আদালতে দায়ের কৃত মামলার এজাহার  ও বাদী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের সৈয়দগাও মৌজার অন্তর্ভুক্ত কালেঙ্গা বাজারে অবস্থিত ২৩৩২ নং হাল দাগে কান্দা শ্রেণিতে ৪২ শতাংশ ও ২৫৫৪ নং হাল দাগে কান্দা শ্রেণিতে ৩৬ শতাংশ জমি জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে। যা স্থানীয় কালেঙ্গা বাজার নামে পরিচিত।
উক্ত জমি উত্তরাধিকার সুত্রে,সাবেক ১৩১১ নং দাগে ১১৯ নং সিএস খতিয়ান মূলে  ৪২ শতাংশের মালিক  খান্দু শেখ, সাবেক ১৩০৯ দাগে ১১৯ সি এস খতিয়ান মূলে ৪২ শতাংশের মালিক তারেই ভাই দুরজান শেখ।
পরবর্তীতে ১০৪ নং এস এ  খতিয়ান মূলে উত্তরাধিকার সুত্রে  এই সম্পত্তির মালিক হন মৃত নবী হোসেন  ও মিয়া হোসেন।  পরবর্তীতে তারা উক্ত সম্পত্তি লিখিত ভাবে কোন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে না দেওয়ায়। তাদের উত্তরসূরীরা মালিক হওয়ার কথা।
কিন্তু তা না হয়ে ভুল ক্রমে উক্ত সম্পত্তি জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেন উল্লেখিত তফসিল ভুক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার সুত্রে হকদার সুমন মিয়া, আবুল কালাম, সিরাজুল ইসলাম, আজিম উদ্দীন, শাহজাহান গং দ্বয়।
সুমন মিয়া বলেন, ২০২১ সালের শুরুর দিকে স্থানীয় ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গেলে জানতে পারি আমাদের সম্পত্তি ডিসি মহোদয়ের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়ে গেছে। একই বছর রেকর্ড সংশোধনির জন্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় উপস্থিত নান্দাইলের সিনিয়র জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১৩৭/২০২১।মামলাটি এমতাবস্থায় চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। উল্লেখিত তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এই মর্মে উক্ত  সম্পত্তিতে একটি সাইনবোর্ড যুক্ত রয়েছে।
স্থানীয় সর্বমহল বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকার পরও স্থানীয় ফারুক, কবির মাষ্টার, সরুজ আলী, ফখরুলের নেতৃত্বে  প্রভালশালী মহল বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাদী সুমন মিয়া বলেন,   তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের দাবি আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মান না করতে ও প্রভাবশালী মহল  যাতে আমাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি না করতে না পারে সে জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে  স্থানীয় প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আঃ সালাম ডিলার বলেন, উত্তরাধিকার সুত্রে  এই  সম্পতি তাদের,যে ভাবেই হোক তা জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে।  তারা প্রশাসনকে বিবাদী করে  আদালতে মামলা করেছে। যদি তারা রায় পায়। আমরা যায়গা খালি করে দিয়ে দেব। তাদের সাথে আমাদের কোন ব্যাক্তিগত বিরোধ নেই। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।