নওগাঁর আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। পবিত্র রমজানের ইফতার তারাবি ও সেহরীর মূল সময়গুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার গ্রাহক পরিবার।
জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ২২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এ ৮ইউনিয়নের গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৬টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ নম্বর ফিডারের আওতায় উপজেলা সদরকে নেয়া হয়েছে। যাতে গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। উপজেলায় একাধিক ফিডার চালুর কারণে মফঃস্বল এলাকার গ্রাহকরা বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে হচ্ছেন চরম বৈষম্যের শিকার। জানা যায় গত কয়েকদিন থেকে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকছেনা। এদিকে অন্যান্য ফিডার উপেক্ষা করে শুধুমাত্র উপজেলা সদরের ফিডারে অধিক পরিমান বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় মফঃস্বল এলাকার গ্রাহকরা বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে হচ্ছেন চরম বৈষম্যের শিকার। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভেপসা গরম সেই সাথে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিংয়ে জনজীবন উষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। এমনকি কোন কোন এলাকায় সারা দিন রাতই বিদ্যুৎ থাকছেনা। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম এর স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যুৎ সরবরাহে এ বৈষম্য বলে অনেকেরই অভিযোগ। বিশেষ করে পবিত্র এ রমজান মাসে ইফতার তারাবি ও সেহরীর সময় বিদ্যুৎ না পাওয়াতে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার তারাটিয়া মসজিদের তারাবির ইমাম হাফেজ সালমান সোহেল বলেন, তারাবি শুরুর দিন থেকেই আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। খুব কষ্ট করে তারাবির নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের ওহিদুর রহমান বলেন, গাছ কাটার এক অজুহাতে প্রায় ২ দিন থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম মো. শামিম বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহে বৈষম্য করা হয় না। তবে গত কয়েকদিন থেকে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা শুধু আত্রাই নয় সারা দেশেরই এক অবস্থা।
#চলনবিলের আলো / আপন