বৃহস্পতিবার , ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে চিনাবাদাম চাষ করে অনেক চাষী পরিবারের সচ্ছলতা এনেছে  

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০
মোঃ দুলাল হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
অন্যান্য ফসল উৎপাদন  করে লোকসান হলেও চিনাবাদাম চাষ করে অনেক চাষী পরিবারের সচ্ছলতা এনেছে তাই বেশি লাভ হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা ক্রমেই বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে ।ইতোমধ্যে অনেক চাষী ধান বা ভুট্রা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে  ক্রমেই বাদাম চাষের দিকে ঝুঁেক পড়ছে। সেই সাথে  দিন দিন বাড়ছে চিনা বাদামের আবাদ।
ঠাকুরগাঁওয়ে বাদাম চাষে চাষীদের ঝুঁকে পড়ার গল্প  নিয়ে একটি ডেক্স রিপোর্ট।ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি নির্ভর জেলা।এ জেলার চাষীরা বংশ পরম্পরায় ধান পাট গম ও আলু চাষাবাদ করে আসছে।কিন্তু প্রতিবছর এসব কৃষকরা উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে লোকসান গুনে আসছেন।কিন্তু একমাত্র বাদাম চাষ করে লোকসানের আশংকা কম।অন্যান্য ফসলের ন্যায় জমিতে বীজ বপন করে কয়েকবার নিড়ানী ও সেচ দিয়ে উৎপাদন করছেন চিনাবাদাম।জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলার গড়েয়া ,ভুল্লি ও রাজাগাঁও এলাকায় কয়েক বছর আগে শুরু হয় বাদামের চাষাবাদ।যেসব চাষী একবার লাভবান হচ্ছেন পরবর্তীতে তিনি বাড়াচ্ছেন বাদামের জমির আওতা।
কৃষকরা জানান,এক বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করতে খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা।আর এক বিঘা জমিতে চিনাবাদাম উৎপাদন হয় ১২ মন।প্রতিমণ কাঁচা বাদামের দাম আড়াই হাজার টাকা হিসেবে এক বিঘা জমিতে আয় হয় ৩০ হাজার টাকা।খরচ ১০ হাজার বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি লাভ হয় ২০ হাজার টাকা।তবে বাদাম শুকিয়ে ঘরে সংরক্ষণ করলে লাভ আরো বেশি।
কয়েক বছর আগে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কয়েকটি  ইউনিয়নে সীমিত আকারে বাদাম চাষ শুরু হলেও বর্তমানে প্রতি বছর বাড়ছে বাদাম চাষের আওতা।
চলতি বছর জেলায়  রবি মওসুমে চিনাবাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৪ হেক্টর এবং অর্জিত হয় ১৮ মেট্রিক টন।অপরদিকে খরিপ-১ মওসুমে চিনাবাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩২৬ হেক্টর এবং আবাদ হয়েছে ৩৩২ হেক্টর জমি।আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাতা ধরা হয় ৫৫৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক  কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান,চিনাবাদাম একটি অর্থকরী ফসল।ফলনও ভাল এবং দামও ভাল।অন্যান্য ফসলে চাইতে বাদাম দাম উচ্চ মূল্য হওয়ায় এ জেলায় বাদামের বাদাম ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।এজন্য চিনাবাদামের নতুন নতুন জাত সরবরাহ করা হবে।আশা করছি জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও চিনাবাদমের আবাদ ছড়িয়ে পড়েবে এবং চাষীরা লাভবান হবেন।

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ