মঙ্গলবার , ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় ৪১৫হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

রাান্নাঘরে হলুদ, বিয়ে বাড়িতেও হলুদ, হলুদ মিশে আছে বাঙালির খাদ্যাভ্যাস ও সাজগোজের সংস্কৃতিতে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও হলুদ চাষ লাভজনক। এ কারণে আটঘরিয়ায় অনেক চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হলুদ চাষ করে সফল হচ্ছেন। বিশেষত পতিত জমিতে হলুদ চাষ করে ভাগ্য ফিরিয়েছেন অনেকে।আটঘরিয়া উপজেলায় চলতি বছরে ৪১ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ করা হয়েছে। হলুদকে সাথি ফসল হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে হলুদের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উৎপাদিত হলুদের ফলন হয়েছে বেশ। মাঠে কৃষকরা হলুদ ওঠাতে ব্যস্ত এখন। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা কাঁচাহলুদ কিনে চাতালে সিদ্ধ করে শুকিয়ে সংর¶ণ করতে শুরু করেছেন।

হলুদ চাষি দুলাল মৃর্ধা বলেন, দেবোত্তর, একদন্ত, চাঁদভা, মাজপাড়া পৌরসভায় ব্যাপক হারে হলুদ চাষ হয়েছে। এ বছর হলুদের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। হলুদ ¶েতের ভেতর মরিচেরও চাষ করে মুনাফা একটু বেশি পেয়েছেন।

হলুদ চাষিরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৪০-৪৫ মণ হলুদ উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি মণ কাঁচাহলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত। হলুদ চাষে জৈব সার ব্যবহারে খরচ হয় কম। এক বিঘা জমির কাঁচাহলুদ বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫ হাজার টাকায়। অনেক বছর ধরে হলুদ চাষ করছেন তিনি। আগে চাষ করতেন নিজ পরিবারের সারা বছরের চাহিদা মেটাতে। এখন তিনি হলুদ আবাদ করছেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। এর মধ্যে অনেক পতিত জমিও ছিলো।

ভালো ফলনের জন্য গভীরভাবে ৪ থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে এবং আগাছা পরিষ্কার করে ঢেলা ভেঙে ভালোভাবে জমি তৈরি করে নিতে হবে। হলুদের গায়ের মাটি এবং শিকড় পরিষ্কার করার পর হলুদ কোনো ধাতব বা মাটির তৈরি পানিভর্তি পাত্রে ধীরে ধীরে জাল দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সিদ্ধ করতে হয়। হলুদের শুকনো পাতা জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত হয়। হলুদ সিদ্ধ করে ১২-১৩ দিন রৌদ্রে শুকিয়ে ঘরে সংর¶ণ করা যায় হলুদ।

কৃষিবিদ সজীব আল মারুফ জানান, আটঘরিয়া উপজেলা মোট ৪১ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ করা হয়েছে। হলুদের রয়েছে নানা গুণ। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে হলুদের কোনো জুড়ি নেই। খালি পেটে কাঁচা হলুদের রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। দুরারোগ্য ক্যানসার রোগ সারাতে হলুদ মশলাসমৃদ্ধ তরকারির ঝোল পথ্য হিসেবে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।