মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর থেকে:
যশোর শিক্ষা বোর্ডে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ মহল ঘুষ, দূর্নীতি, অনিয়ম, বোর্ডের বিভিন্ন সেকশনের মালামাল ক্রয়, টেন্ডার বানিজ্য, ঠিকাদাদের নিকট চাঁদা আদায়সহ নানাবিধ অনিয়মসহ বোর্ডে আসা অসহায় ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকসহ বোর্ডের কিছু কর্মকর্তাকে জিম্মি করেছে। তারা ৮ থেকে ১২ বছর একই বিভাগে অবস্থান করে অনিয়মের মহাআখড়ায় পরিণত করেছে। উন্নয়নমুখী প্রকল্প ও শতভাগ সেবা বাস্তবায়ন করতে এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শক্ত হাতে কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর শিক্ষাবোর্ডে ঘুষখর, দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মকারীদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। ঘুষ না হলে কোন ফাইলই নড়ে না। সেবা নিতে দিনের পর দিন ছাত্র শিক্ষকবৃন্দকে তাদের দ্বারে দ্বারে উপঢৌকনসহ ঘুরতে হতো। আর এ সমস্ত কাজ গুলি তারা করতো যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসতো রাতারাতি তারা ভোল পাল্টিয়ে হয়ে যেতো প্রেজেন্ট পার্টির অঙ্গসংগঠনের পাতি নেতা। যার ফলে সিবিএ এর নির্বাচনে পয়সার বিনিময়ে ম্যাসেল ম্যানদেরকে ও তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীমকে সাথে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনের ফলাফল তাদের অনুকুলে প্রকাশ করতেন।
ভোটারকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান হুমকি দিতেন এবং চেয়ারম্যানের নির্দিষ্ট প্রতিক এ ভোটদানে বাধ্য করা হয়েছে। ওই চেয়ারম্যানের সহযোগিতার দূর্নীতিবাজরা রাতকে দিন ও দিনকে রাতে পরিনত করে। সিন্ডিকেটকে চেয়ারম্যান শক্তিশালী করেছিলেন। যার ফলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। জমি, বাড়ী, দামি গাড়ী, একের অধিক প্লটের মালিক হয়েছেন তারা। তার খেশারত গুনতে হয়েছে বোর্ডে আাসা ছাত্র, শিক্ষক ও গরীব অসহায় অভিভাবককে। শিক্ষাবোর্ডের এমন ভঙ্গুর অবস্থায় গত ২৯ জানুয়ারি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন। যোগদান করেই সর্বপ্রথম বোর্ডের সময়োপযোগী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নেন। সেই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার দূর্নীতির জিরো টলারেন্স আহবানে সাড়া দিয়ে বোর্ডকে দূর্নীতি মূক্ত করতে তারই ধারাবাহিকতায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। তার প্রথম ধাপে এক সেকশনে যে সমস্ত ব্যক্তিগন দির্ঘদিন ধরে ৭ থেকে ৯ বছর একই টেবিলে চাকুরী করছেন তাদেরকে অফিসের প্রয়োজনে বিভিন্ন সেকশনে বদলী বা পদায়ন করেন। সে কারণেই দূর্নীতিবাজরা একজোট হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড মোল্লা আমীর হোসেনকে বোর্ড থেকে অন্যত্র বদলীর জন্য তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা মনগড়া কল্পোকাহিনী রচনা করছেন। গভীর ষড়যন্ত্র ও কুৎসা রটাচ্ছেন।
প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার বাবা বরিশালের বামনা অঞ্চলের তৎকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। তাদের বাড়ী থেকে ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্থানী সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা হত। বর্তমানে তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই মানুষটির কুৎসা রটাচ্ছেন দূর্নীতিবাজ ঘুষখোররা। শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আল হাবিব বাপ্পু বলেন, প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন স্যার চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করার পর থেকে শক্ত হাতে প্রশাসন চালাচ্ছেন। দুর্নীতিবাজদের শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাই তারা তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আমরা বোর্ডের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বর্তমানে যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এবং চেয়ারম্যান সাহেবের হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। সেই সাথে বোর্ডের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, ভাল করতে হলে বাধা আসবেই। আমি ভাল কাজ শুরু করেছি ও চলমান থাকবে। কোন ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। আইন ও নিয়ম-কানুনের মধ্যদিয়েই শিক্ষাবোর্ড চলবে। অনিয়ম করলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বোর্ডের স্বার্থে আমি সব সময় শক্ত অবস্থানে থাকবো। দুর্নীতিবাজদের কোন রক্ষা হবে না। অফিসে সিন্ডিকেট থাকবে না। আইনের গতিতে শিক্ষাবোর্ড চলবে। কোন রক্তচক্ষু আমাকে আমার অবস্থান থেকে সরাতে পারবে না