যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিল্প ও বাণিজ্য নগরী নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগ থেকে মনিরামপুর রোডের স্বাধীনতা চত্বরের যানজটের জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেনো শেষ নেই। রাস্তার দুইপাশের ফুটপাতগুলো দখলের কারণে, প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিরব ভূমিকায় থাকার কারনে, সাধারণ পথচারী মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দেখার যেন কেই নেই। সড়কের উপর অবৈধভাবে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দেদারসে কেনাবেচা চালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। যার কারনে প্রতিনিয়তই যানজটের সৃষ্টি সহ ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। বেড়েই চলেছে পথচারী সহ সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে নওয়াপাড়া নূরবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে যত্র তত্রভাবে দোকান ও রাস্তার উপর অবৈধ দোকানপাট ও বাজার বসানো হয় প্রতিদিন। এর মধ্যে কাঁচা তরতরকারি, ফলমুল, বেকারী সামগ্রী, জুতার দোকান, মাছের দোকান, ঝালমুড়ির দোকান সহ শতাধিক ভাসমান দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় বসানো এসব দোকান সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানের সামনে আর একটি দোকান বসিয়ে বেচাকেনা করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে একজন ব্যবসায়ী জানান আমরা প্রতিদিন কাঁচা তরিতারকারি এনে এখানে বসে বেচা কেনা করে থাকি। এর জন্য আমাকে প্রতিদিনই ভাড়া প্ররিশোধ করতে হয়। কোন কোন সময় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদেরও টাকা দিতে হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন। অনেক ব্যবসায়ী বলেন আমাদের টাকা দিয়ে মূল মালিক তাদের ঘরভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। দোকানের আকার ও ধরন বুঝে প্রতিদিন ২ শ থেকে ৩ শ টাকা হারে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। বিশেষকরে সন্ধ্যায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়। যদি একটা ট্রাক বাস বড় গাড়ি প্রবেশ করে তাহলে অন্য যানবাহন বা পথচারী একেবারেই চলতে পারে না। একদিকে দোকানের সামনে দোকান হওয়ায় ক্রেতাগন জিনিসপত্র কিনতে বা দাম শুনতে গেলে রাস্তার উপর দাড়াতে হয়। আর এ সময় ঘটে যত বিপত্তি, পথচারীরা শীকার হয় তখন চরম ভোগান্তিতে। রেল লাইনের পরে শাকসবজী মাছ, ফল, চায়ের দোকান, খাবার হোটেল সহ বিভিন্ন প্রকার দোকান থাকায় রেলের হুইসেল শুনতে অনেকের কষ্ট হয়। বেগ পেতে হয় রুগী ও ছাত্র-ছাত্রীসহ জনসাধারনের। কারন হিসাবে একজন পথচারী বলেন এই রোডে যদি একবার জ্যাম লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে গেলেও জ্যাম ছাড়াতে চায় না, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা দিতে পারে না। রোগীরা পৌছাতে পাড়েনা হাসপাতালে। স্থানীয় প্রশাসন যদি খেয়াল না করে তাহলে আমরা কোথায় যাব। এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি খুব শিঘ্রই নওয়াপাড়া বাজার উন্নয়ন কমিটির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসির মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনসাধারনের দূর্ভোগের সৃষ্টি করা খুবই দুঃখজনক। আমরা খুব শিঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করব। নওয়াপাড়া বাজারের এই গুরুত্বপুর্ণ সড়ক ব্যবহার করে যেতে হয় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমূহে, তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের দাবি দ্রুত এসব অবৈধ ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জরুরী।
#চলনবিলের আলো / আপন