বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণা হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। সেই ভাষা আন্দোলনের সাফল্য থেকে বাঙালি পেয়েছে মুক্তির সংগ্রামের উজ্জীবনী শক্তি ও সাহস। মুক্তির সংগ্রামে উজ্জ্বল নক্ষত্র ভাষা সৈনিকরা।
ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ এলেই সর্বপ্রথম যার মুখটি বাঙালির সামনে ভেসে ওঠে, তিনি হলেন ভাষা সৈনিক ( ছাত্র মতিন)আব্দুল মতিন। ভাষা আন্দোলনের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এ এলাকার মানুষের কাছে ।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন আর ভাষা সৈনিক ও ভাষা শহীদের রক্তে রাঙানোর দিন আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। আর এ দিবস সহ সকল জাতীয় দিবস পালন করতে চান নতুন প্রজন্মের শিশুরা। দু-একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও তা অযন্তে অবহেলায় পরে আছে ! শহীদ মিনার আছে শ্রদ্ধা নেই। তাই বলে কী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো না? আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দিলাম ৷ এ প্রতিবেদককের কাছে আবেক কন্ঠে এসব কথাগুলো বলছিলো ঘোরজান ইউনিয়নের শিশু শিক্ষার্থীরা।
১৮ নং শেখ চাঁদ পাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পাশে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রতিবেদককে ডেকে নেয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মোঃ আনোয়ার সরকার ৷ আনোয়ার সরকার বলেন, স্যার আমাগো একটা ছবি তুলে দেন ৷
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কলা গাছের অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ৷ দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও পরে আছে অযন্তে। আর,আর,কে দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র মোঃ রবিউল ইসলাম, ১৮ নং শেখ চাঁদপাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোঃ তাজিম, ৬৩ নং চরজাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র মোঃ আসিব বলেন, আমরা গতকাল থেকে কলা গাছের শহীদ মিনার তৈরি করছি ৷ বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে ৷
আমাদের স্যাররা বলেছেন, অনেক রক্তের মিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি ৷ যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে ৷
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করছি বললেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এমন দৃশ্য এ প্রতিবেদকের ক্যামেরায় বন্ধি হয় সোমবার সকালে উপজেলার ঘোরজান ইউপির চর জাজিরা এলাকায়।
#চলনবিলের আলো / আপন