জহিরুল ইসলাম (জীবন ) হরিপুর / ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
এক কিলোমিটার রাস্তায় কাদা-ময়লা পানিতে একাকার। আর এই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে তিনটি গ্রামের কৃষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। হরিপুর উপজেলার তোররা বাজার থেকে সোজা দক্ষিণে পূর্ব তোররা থেকে সাতাহাজারা গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার মাটির রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এখন বর্ষাকাল সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলো কাদা ও ময়লা পানিতে ডুবে যায়। এতে পূর্ব তোররা গ্রামের মানুষের চলাচলের যানবাহন,পাওয়ার টিলার,ট্রাক,রিক্সা-ভ্যান,অটোবাইক, মটরসাইকেল-বাইসাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্কুল-কলেজ যখন খোলা ছিল,তখন বর্ষার এই সময় প্রতিদিন কৃষক ব্যবসায়ী এনজিও কর্মী,শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কাদা-পানিতে পড়ে পোশাক ভিজিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এতে বর্ষার সময়ে শিক্ষার্থীরা কাদা-পানির ভয়ে নিয়মিত স্কুল যেতে চায় না। রাস্তা কর্দমাক্ত ও অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি আটকে থাকে। কৃষক মাঠের ধান ঘরে বা হাটে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়িত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমন অবস্থায় স্থানীয় সমাজসেবকগণ ইটের গুড়া দিয়ে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করলেও বর্ষার বৃষ্টি আর অতিরিক্ত যানবাহনের চলাচলে এগুলো পেরিয়ে উঠতে পারছে না।
হরিপুর-বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা অর্থাৎ ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি জনাব আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এর নিকট রাস্তা পাকাকরণ নিয়ে আবেদন করা হলে, তিনি বিষয়টি দ্রুততার সাথে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ৩ বছর পার হয়ে গেছে তারপরও রাস্তাটি এখনো পাকাকরণ হয় নি। এই নিয়ে এলাকাবাসী খুবই হতাশ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে গনমাধ্যমের সাহায্যে রাস্তাটি পাকাকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি মহাদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।