সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগরে সরকারি জব্দকৃত গাছ উধাও, খবর জানেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
সরকারি জায়গার (ভাঙাড়) শিরিষ গাছ কাটার অভিযোগে ভূমি অফিস কর্তৃক আটকের পর ভোর রাতে নসিমন যোগে গাছের কাঠ গায়েব হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নায়েব প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, কর্তনকৃত গাছ আটক আছে, ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র, কর্তনকৃত কোন গাছ সেখানে নেই। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় অভয়নগর উপজেলার ৮নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নাউলী গ্রামের আড়পাড়ায় বায়তুস সালাম জামে মসজিদের সামনে।
জানা গেছে, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ৮৭নং নাউলী মৌজার ৬১৩৯নং দাগে (সরকারি রাস্তার দাগ) রাস্তার পার্শ্বে সরকারি জমিতে রোপনকৃত শিরিষ গাছ ধীরে ধীরে বেশ বড় হয়েছে।
সম্প্রতি গাছের বিরুদ্ধে প্রতিবেশি মৃত ইউসুফ কাজীর ছেলে কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভয়নগর উপজেলার ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কাজী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, সরকারি জায়গাতে গাছ হলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, সরকারি গাছ নিয়ে নিতে পারে বিধায় আ: হাকিম গাজীর নেতৃত্বে সরকারি জায়গার এ গাছ বিক্রয় করা হয়। হাকিম গাজী জানিয়েছেন, জমি সরকারি তবে গাছ আমার লাগানো।
সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নায়েব প্রশান্ত কুমার রায়ের নিকট মোবাইলে গাছের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছ কেটেছে সত্য তবে কর্তন কৃত গাছ আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে জমি মাপার পর গাছের মালিক নির্ধারন করা হবে, তিনি আরো জানালেন, প্রকৃত গাছের জায়গা সরকারি হলে গাছ কাটার অভিযোগে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে আবারও যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়ে আসি এবং গাছের ডালপালাগুলি আটকিয়ে রাখি। কিন্তু পরবর্তীতে ওই গাঠগুলি আমাদের না জানিয়ে নিয়ে যায়।
আমরা তার বাড়িতে গিয়ে সেই কাঠ গুলি দেখতে পাই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আটক করে রাখার পরও সেই কাঠগুলি না জানিয়ে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া অবশ্যই অন্যায় করেছে। বিষয়টি আমি আমার এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি।
এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. তানজিলা আখতার জানান, এই রকম একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং গাছটি আটকিয়ে রাখা হয়েছিল তবে আটকিয়ে রাখা গাছের কাঠ নিয়ে গেছে কি/না তা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দীন জানান, সরকারী গাছ কাটার কোন তথ্য আমার জানা নেই তবে যদি গাছটি সরকারী জায়গার হয় তবে অবশ্যই খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।