বৃহস্পতিবার , ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নাগরপুরে ভুট্টা চাষে বিঘা প্রতি লাভ দশ হাজার ” লাভবান প্রান্তিক কৃষক “

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অধিক লাভের আশায়, উৎসাহী কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান। উপজেলার চরাঞ্চলে বসত বাড়ির পাশে, পতিত ও তিন ফসলি জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে ব্যাপক সফলতা এনেছে। গত বছর বাজার দাম ভালো পাওয়ায় চাষীরাও খুশি রয়েছেন।
স্থানীয় চাষিরা জানান, উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর চড়ে অনেক জমি, বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোন ফসল চাষ করা যায়না। তবে ওই সব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে তারা(চাষি) চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। সেই সাথে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নেই চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
 ডিসেম্বর মাসে বীজ বপনের পর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। শেষের দিকে ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলে আশাবাদী। চরাঞ্চরের বালি পরে থাকা জমিতে বীজ বপনের পর থেকেই গাছ তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে। জাত বেধে  প্রতিটি গাছে ১-৩ টি করে ভুট্টার কলা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি করেন। চরের কিছু কিছু চাষি এককভাবে ৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুটা চাষ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  ছরোয়ার হোসাইন জানান, গত বৎসর প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে গড়ে ৭-৯ মেট্রিক টন ভুট্টার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষ অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায়, এ চাষে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষ হয়ে উঠায় এ কাজে তাদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার নয়া পাড়া গ্রামের মো. খোকন খান ও বাদে বেহালীর মো. পলাশ মিয়া জানান, কৃষিকাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি এ বছর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে(ফলন ভাল হলে) ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত। বাজার গুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় এবার চাষিরা লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বিশ্বাস জানান, ভুট্টা চাষে আমাদের পরামর্শ ও যাবতীয় কারিগরি সহযোগিতা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরের চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিবে। এবছর প্রায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে এবং ১৫০০ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রণোদনার আওতায় প্রতি কৃষককে ২ কেজি ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এবছর উপজেলায় ১২০০০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।