পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের দু’টি পদই শূণ্য। শিক্ষক -কর্মচারী আত্তীকরণ ও পদ সৃজন জটিলতার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যোগ্য ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে পারেনি। এ কারণে কলেজের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুস সালাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব পেয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো: শহিদুজ্জামান গত ৩১ জানুয়ারি অবসর গ্রহন করায় অধ্যক্ষের পদটি শূণ্য হয়। বিদায়ের আগমূহুর্তে প্রথা অনুযায়ী তিনি জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক ও সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুস সালামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এতে করে কলেজটি ৫২ বছর পর অধ্যক্ষ বিহীন সংকট ও জটিলতায় পতিত হলো।
১৯৭০ সাল থেকে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো: আব্দুল আজিজ খান(ডবল এমএ.বাংলা ও ইংরেজি) একটানা ৩৫ বছর দায়িত্ব পালন কালের শেষ দিকে এই কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: শহিদুজ্জামান কে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করেন। তার অবসরের পর ২০০৬ সালে মো: শহিদুজ্জামান অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। পরে কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদা খাতুন উপাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তিনিও অবসরে যান। এরপর থেকে উপাধ্যক্ষের পদটি শূণ্য থাকে।
১৯৯২ সালের ৩০ জুন মো: আব্দুস সালাম এই কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। একই দিন তার সঙ্গে মো: মাহবুব-উল-আলম বাবলু রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তবে আব্দুস সালাম পুর্বে কুমিল্লা জেলার হোমনা কলেজে কিছুদিন চাকরি করার সুবাদে সেই ইনডেক্স ব্যবহার করে তিনি সিনিয়রিটি পান। বর্তমানে হাজী জামাল উদ্দিন কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে ৬ষ্ঠ গ্রেডের মো: আব্দুস সালামসহ মো: মাহবুব-উল-আলম,ইংরেজি বিভাগের প্রতাপ কুমার মন্ডল ও ইতিহাস বিভাগের চন্দনা রানী দাশ সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালের আগষ্টে প্রজ্ঞাপন ও গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজটি সরকারি করেন।
#চলনবিলের আলো / আপন