সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাণীনগরে চার পরিবার এক ঘরে:সাত মাসেও মিলেনি প্রতিকার

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নওগাঁর রাণীনগরে জায়গা-জমির মালিকানা বিরোধের জের ধরে চারটি পরিবারকে সাত মাস ধরে এক ঘরে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া ইটের প্রাচির দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চলাচলের রাস্তা। এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করে তিন মাস অতিবাহিত হলেও প্রতিকার মেলেনি বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগি পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের বড়খোল গ্রামে।

ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য বড়খোল গ্রামের আকবর দেওয়ানের ছেলে ছামছুর দেওয়ানসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে ছামছুর দেওয়ান পরিবারের জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গ্রামের মাতাব্বর প্রধান এবং প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জায়গা ছেড়ে দিয়ে ঘর বাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে পার্শ্বে খাস জমিতে বসতি স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব নাকচ করার কারণে গত সাত মাস আগে গ্রামের মাতাব্বর আব্দুল করিম, রিয়াজুল ইসলাম, বেলাল ও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন তাদের লোকজন নিয়ে ছামছুর দেওয়ানের পরিবারের সদস্য মোমেনা বিবির ঢোক দোকান ঘর ভেঙ্গে দেয়। এর পর মাতাব্বররা ছামছুর দেওয়ান, ভাই উজ্জল দেওয়ান, প্রতিবেশি রমজান দেওয়ান এবং মোমেনা বিবিসহ চার পরিবারকে এক ঘরে করে রাখে। আমরা জায়গার মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা দিয়েছি।
ছামছুর দেওয়ান আরো জানান, মাতাব্বর রিয়াজ দেওয়ান নিজে এসে ছামছুর দেওয়ানসহ চার পরিবারের লোকজনকে এক ঘরে করে রাখার বিষয়টি জানায়। সমাজের কোন লোকজন ওই চার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলতে, ছামছুর দেওয়ানের ভ্যান গাড়ীতে যাতায়াত করতে, দোকান থেকে কোন জিনিস ক্রয় করতে এবং মসজিদে নামাজ পরতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। গ্রামের কেউ এনির্দেশনা ভঙ্গ করলে তার এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও তারা ঘোষনা দেয়। এমন নির্দেশনার পর থেকে গ্রামের কোন লোকজন তাদের সাথে কথা বলেনা এবং দোকান থেকে কোন জিনিসপত্র বা ওষুধও বিক্রি করেনা এবং ভ্যান গাড়ীতেও কেউ যাতায়াত করেনা। এছাড়া বিদ্যালয়ের জায়গা দাবি করে ছামছুর দেওয়ানসহ চার পরিবারের লোকজনের চলা-চলের রাস্তা ইটের প্রাচির দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে বাড়ী থেকে বের হতে হচ্ছে প্রাচির টপকে। ফলে ২১জন সদস্য নিয়ে চরম দূর্ভোগে পরেছেন ওই চার পরিবার।
গ্রামের প্রধান মাতাব্বর আব্দুল করিম, রিয়াজ উদ্দীন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন এক ঘরে করে রাখার অভিযোগ অ¯^ীকার করে বলেন, ছামছুর দেওয়ানরা খারাপ মানুষ। যে কারনে গ্রামের কোন লোকজন ঘৃনা করে ওদের সাথে কথা বলেনা। এছাড়া ওরা নিজেরায় নিজেদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেছে। আমরা তাদেরকে বন্ধ করিনি।

ওই গ্রামের শাহিন হোসেন, ইকবাল হোসেন, খায়রুল ইসলাম প্রামানিক জানান, স্কুলের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। কয়েকবার বসেও সমাধান হয়নি তাই মাতাব্বরদের নির্দেশে সমাজ থেকে তাদেরকে এক ঘরে করে রেখেছে। যে কারণে আমরাও কথা বলিনা।
এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে ছামছুর দেওয়ান নওগাঁ জেলা প্রসাশক বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে গত ২৭ অক্টোবর/২১ জেলা প্রসাশক রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে “ব্যক্তিগতভাবে দেখে অবহিত” করার নির্দেশ দেন। এর পর নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসলেও গত তিন মাসে এর কোন সুষ্ঠু প্রতিকার করেনি বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।

এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, জেলা প্রসাশকের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ্এবং উভয় পক্ষকে আমার দপ্তরে ডেকেছি। আসা করছি তারা আসবেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।