সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বন্ধ্যাত্বের অযুহাতে শিক্ষিকা স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় তালাক দিতে মরিয়া শিক্ষক স্বামী

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রথম স্ত্রীর কস্টে উপার্জিত অর্থ স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে নির্মিত ভবনে ঠাঁই হলোনা শিক্ষিক স্ত্রী’র। বন্ধ্যাত্বের অজুহাতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়্রা জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বামী।
উপজেলার জোবারপাড় গ্রামের গৌরাঙ্গ হালদারের মেয়ে ও নাঘিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মনিকা হালদার মঙ্গলবার সকালে বলেন, সরবাড়ি গ্রামের নারায়ণ অধিকারীর ছেলে ও আস্কর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের (বিদ্যালয় শাখার) শরীরচর্চা শিক্ষক দীপক অধিকারীর সাথে ১৩ বছর পূর্বে সামাজিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নিজের উপার্জিত অর্থ স্বামী দীপকের হাতে তুলে দেয়া টাকায় স্বামীর বাড়িতে ভবন নির্মাণ করা হয়।
মনিকা অভিযোগে বলেন, বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও বিগত তিনবছর পূর্বে তার স্বামী স্কুলের পাশ্ববর্তী মামা বাড়িতে আশ্রিত রুমা নামের এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। বিষয়টি মনিকা জানতে পেরে স্বামীকে বাঁধা দেওয়ার পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। একপর্যায়ে মনিকার বন্ধ্যাত্বের অজুহাত দিয়ে অতিগোপনে রুমা নামের ওই নারীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে দীপক।
দ্বিতীয় বিয়ের পরে মনিকাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দীপক ও দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। নিজের বন্ধ্যাতের অসহায়ত্ব এবং সম্মানের ভয়ে মনিকা নির্যাতন দীর্ঘদিন মুখ বুঝে সহ্য করে আসছেন। সম্প্রতি দীপক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষিকা মনিকা হালদারকে অমানুষিক নির্যাতনের পর ভবন থেকে টেনে হিচরে বের করে দেওয়া হয়।
মনিকা আরও বলেন, বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে জানালে দীপক ক্ষিপ্ত হয়েওই প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে নেয়। প্রভাবশালীরা উল্টো দীপকের পক্ষালম্বন করে মনিকাকে তালাকের প্রস্তাবে রাজি করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। মনিকার থেকে তালাকে ব্যর্থ হয়ে তারা বর্তমানে এ ঘটনায় যেন আইনের আশ্রয় গ্রহণ না করি সেজন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন মনিকা।
অসহায় শিক্ষিকা মনিকা হালদার তার প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও নারী নেত্রীদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক অধিকারী বলেন, বন্ধ্যাত্বের কারণে ভারতসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মনিকার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তারপরেও কোন সুফল না পেয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।