রবিবার , ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গুরুদাসপুরে একটি সেতুর অভাবে দশ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২

দীর্ঘদিনের দাবি সত্তে¡ও একটি সেতুর অভাবে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দশ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সেতু না থাকায় এসব ওই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে চলাচল করছেন। উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ওই আত্রাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য অনেকবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন হয়নি। নদীপাড়ের ১০টি গ্রামে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ একটি ব্রিজের জন্য বছরের পর বছর আশায় বুক বেঁধে আছেন। কিন্তু তাদের দুঃখ দুর্দশার দিকে আজ পর্যন্ত কেউ ফিরেও তাকায়নি। বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আত্রাই নদী পারাপারে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সাঁকো উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো মহিলার প্রসব বেদনা দেখা দিলে অথবা জরুরি প্রয়োজনে কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে পোহাতে হয় অনেক দুর্ভোগ। নদীপারের গ্রামগুলোতে দুই জেলার মানুষের বসবাস ছাড়াও প্রচুর কৃষিজমি রয়েছে স্থানীয় কৃষকদের। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় প্রতি বছর অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হান্নান (৭৩) বলেন, সেতু নির্মাণে অনেকবার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও বাস্তবে তা আর হয়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজারো মানুষ। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন।
নদীর পূর্ব পাশের একটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক জানান, এ সেতু না হওয়ায় তাঁদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। নদীটি খরস্রোতা হওয়ায় খেয়া নৌকায় পারাপার হতে সময় লাগে প্রায় ২০ মিনিট। ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় এ নদী পার হয়ে। ভরা বর্ষায় নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাবগাড়ী বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত এই এলাকাটি কৃষি প্রধান। সাবগাড়ী বাজার সংলগ্ন ঘাট হয়েই নদীর উত্তরপাশের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ী, কারিগরপাড়া, হরদমা এবং সিংড়ার কৃষ্ণনগর, কাউয়াটিকিরি, পানলি ও ডাহিয়া গ্রামের মানুষ তাঁদের উৎপাদিত ফসল পরিবহন করেন। এ ছাড়া নদীর পশ্চিম পাশের সাবগাড়ী, রাবার ড্যাম, যোগেন্দ্রনগর ও ভিটাপাড়া গ্রামের মানুষও ফসল পরিবহনে দুর্ভোগে পড়েন।
খেয়া নৌকার মাঝি সাদেক আলী বলেন, প্রায় ২৮ বছর যাবৎ খেয়ানৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করছি। এজন্য বছরে সবার কাছ থেকে নির্দিষ্ট টাকা এবং ধান নিয়ে থাকি। বর্ষা মৌসুমে খেয়া থাকলেও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করি। তবে এখানে একটি সেতু হলে মানুষের কষ্ট অনেক লাঘব হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘শিগগিরই আত্রাই নদীর ওই পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণ করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।