ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় শেষ মুহূর্তে প্রচার প্রচারণায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। আজ শনিবার রাত থেকে প্রচার প্রচারণা শেষ হবে। তাই দম ফেলানোর সময় নেই তাঁদের।
সরেজমিনে গোপালপুর উপজেলা ইউনিয়নগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ৫টি ইউনিয়নে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মিছিল, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে তাদের ভোট প্রার্থনা করছেন। এ ছাড়া প্রতিটি রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায় পোস্টারে ছেয়ে গেছে। শেষ সময়ে গ্রামের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠছে কে হচ্ছেন তাঁদের আগামীর প্রতিনিধি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান ১৬, সাধারণ সদস্য ১৬৫ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য ৫১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ৮৯২ জন এবং নারী ভোটার ৫৮ হাজার ১৮১ জন। ৫টি ইউনিয়নের ৫০টি ভোটকেন্দ্রে ও ৩২৯ টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। এবারের নির্বাচনে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বাইরে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবং জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন অনেক প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা শুরু থেকেই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা দেখছেন, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভোট যুদ্ধে সুষ্ঠু ভোটে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী, এমনটিই জানিয়েছেন। এদিকে অনেক সাধারণ ভোটারের শঙ্কা ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) নির্বাচন কেমন হবে।
এ বছর এমন পরিস্থিতি হবে কি না এ নিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সচেতন মহল। অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে কড়া নির্দেশনা। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ করতে আগে থেকেই ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। এরপর আর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না। তাই ৩১ জানুয়ারি সুস্থ এবং সুন্দর নিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিক বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে বিজিবি মোতায়েন সহ ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তাই ভোটাররা নির্বিঘ্নে নির্ভয় তার নিজের ভোট প্রদান করতে পারবে বলে আশাবাদী।
#চলনবিলের আলো / আপন