পাবনার সাঁথিয়ায় দেবরকে বিয়ের দাবিতে তার ঘরে আমরণ অনশন করছেন আপন বড় ভাইয়ের বউ সম্পা আক্তার (৩৫)। এমন চাঞ্চল্যর ঘটনা ঘটেছে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আফড়া হিন্দু পাড়া গ্রামে। দেবর প্রেমিক ইব্রাহিম আফড়া গ্রামের মৃত মোকারম শেখের ছোট ছেলে। সম্পা আক্তার দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সম্পা আক্তারের স্বামীর আপন ছোট ভাই ইব্রাহিমকে প্রেমিক দাবি করে তার নিজ ঘরে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। সম্পার দাবি, বিয়ের পর থেকেই দেবরের সাথে ১৫ বছর ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন তারা।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পরিবার গোপনে অন্যত্র ইব্রাহিমের বিয়ে ঠিক করে। আগামী শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ইব্রাহিমের বিয়ের দিন ধার্য হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে দেবরের ঘরে অনশনে বসেন ভাবি সম্পা আক্তার। এর পর প্রেমিক দেবর ইব্রাহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
অনশনরত সম্পা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই ছোট দেবর ইব্রাহিমের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। আমি বিয়ের কথা বললে অনেক বছর পাশ কাটিয়ে যায় ইব্রাহিম। দুই বছর আগে স্বামীর সাথে ঝামেলা করে বাবার বাড়ি চলে গেলে ইব্রাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফিরে আসতে বলে। গেল সোমবারে আমাকে শাহজাদপুর মসজিদে গিয়ে কুরআন শরীফ মাথায় নিয়ে শপথ করেছে দুই/চারদিনের মধ্যে পালিয়ে বিয়ে করবে। এখন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে। আমি জানার পরে দেবর ইব্রাহিমের ঘরে বিয়ের দাবিতে বসে আছি। বিয়ে না করলে দেবরের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানান।
এব্যাপারে মুঠোফোনে দেবর ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাবির সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। সে আমার বিয়ের কথা শুনে ষড়যন্ত্র করে বিয়ে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও আমার দুই তিনটা বিয়ে ভেঙে দিয়েছে ভাবি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু দায়েন কালু জানান, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি তবে মীমাংসার জন্য আমাকে বা ইউনিয়ন পরিষদে কেউ আসেনি।সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
#চলনবিলের আলো / আপন