সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সাতলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদানের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২

প্রায় শত বছর পূর্বে দেশত্যাগ করে ভারতে বসবাসরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন নিঃসন্তান দম্পত্তি। দীর্ঘদিন পর সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য ওই নিঃসন্তান দম্পত্তির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে দাবী করে মিথ্যে ওয়ারিশ সনদপত্র দিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বরিশালের জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামের। মিথ্যা ওয়ারিশ সনদ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে পশ্চিম সাতলা গ্রামের মৃত শষ্ঠি সমদ্দারের ছেলে হেমন্ত সমদ্দার ও সুমন্ত সমদ্দার জানান, তাদের কাকাতো দাদা রতি কান্ত সমদ্দার প্রায় শত বছর পূর্বে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে বসবাসরত অবস্থায় ১৯৭৬ সালে নিঃসন্তান রতিকান্ত সমদ্দার মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে তার (রতি) স্ত্রীও মারা যায়।
তারা আরও জানান, রতিকান্ত সমদ্দারের ওয়ারিশ কিংবা আপন ভাই না থাকায় হিন্দু আইন অনুযায়ী তার (রতি) তিন একর সম্পত্তির ওয়ারিশ হন রতির আপন কাকাতো ভাই শষ্ঠি সমদ্দার। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে শষ্ঠি সমদ্দারের মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ হন শষ্ঠি সমদ্দারের পুত্র হেমন্ত ও সুমন্ত। সেই থেকে ওই সম্পত্তি তারা ভোগদখল করে আসছেন। এমনকি বিএস রেকর্ডেও ওই সম্পত্তি তাদের নামে রেকর্ড হয়েছে।
তারা আরও জানান, অতিসম্প্রতি স্বরূপকাঠী এলাকার জনৈক ব্যক্তি জাল দলিল ও মিথ্যে ওয়ারিশ সনদপত্র দিয়ে ওই সম্পত্তি মিউটেশন করতে দিলে স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে তাদের নোটিশ প্রদান করা হয়। এরপরই সাতলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মিথ্যে ওয়ারিশ সনদপত্র দেয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের ভয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও চেয়ারম্যানের দেওয়া ওয়ারিশ সনদপত্রটি সম্পূর্ন মিথ্যে বলে তারা দাবী করেন।
সূত্রমতে, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সাতলা ইউপি-৩৫২৯ নং স্মারকে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত ওয়ারিশ সনদপত্রে পশ্চিম সাতলা গ্রামের মৃত চরন সমদ্দারের ছেলে রতিকান্ত সমদ্দারের দুই ছেলে জীতেন্দ ্রনাথ সমদ্দার ও রমেন চন্দ্র সমদ্দার নামের দুই জনকে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়ারিশ সনদপত্রটিতে ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্যর তদন্ত সাপেক্ষে ইস্যু করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, উল্লেখিত নামে কোন ওয়ারিশ সনদপত্রে আমি সুপারিশ করিনি।
এ বিষয়ে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, ওয়ারিশ সনদপত্রটি নিয়ে আপত্তি থাকলে অধিকতর তদন্ত করে মিথ্যে প্রমানিত হলে তা (ওয়ারিশ সনদপত্র) বাতিল করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হিন্দু নেতারা বলেন, মিথ্যে ওয়ারিশ সনদপত্রের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীরা এ ব্যাপারে কারও কাছে মুখ না খোলার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর কর্মকান্ডের তদন্ত করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা পার্বত্য শান্তি চূক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির কাছে জোর দাবি জানান তারা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।