শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজে ন‍্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার গুরুত্ব – মাওলানা:শামীম আহমেদ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২

তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।’ কেউ কেউ এটাকে হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী এটা সরাসরি হাদিস নয়, তবে এর অর্থ বিভিন্ন হাদিস দ্বারা সমর্থিত। আল্লাহ চরিত্র অর্জন বলতে বুঝানো হয়েছে তার ওই আখলাক, যা মানুষের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব তা অর্জন করা। যেমন ক্ষমা করা, দয়া দেখানো, ভালো কাজের প্রতিদান দেয়া ও সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি।

আল্লাহ তায়ালার অন্যতম একটি গুণ হচ্ছে ন্যায় বিচার করা। তিনি নিজে ন্যায়পরায়ণ শাসক। জমিনে তার প্রতিনিধি মানুষকে তিনি ন্যায় বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। ন্যায় বিচার শুধু মামলা-মোকাদ্দামার সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট  নয়। বরং মানুষের আচার-ব্যবহারেরও রয়েছে ন্যায়-বিচার ও ভারসাম্য রক্ষার বিষয়। নিম্নে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ন্যায় বিচারের গুরুত্ব ও এর প্রতিবন্ধকতাগুলো তোলে ধরা হয়েছে।

ইনসাফ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব:—-
————————————

হজরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) বলেন, তিনটি গুণ যে অর্জন করতে পারবে তার ঈমান পূর্ণতা পাবে। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা, মানুষকে সালাম দেয়া ও অস্বচ্ছলতায় থেকেও দান করা। (সহীহ বুখারী) ইনসাফের জন্য মানুষের দুটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হয় আমানতদারিতা ও ইখলাস। ইখলাস ও আমানতদারিতা থেকে বিচ্যুতি ঘটলে মানুষ কখনো ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না।

আল কোরআনেও বহু জায়গায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা এসেছে। আল্লাহ তায়ালা সূরা হাদিদে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে নির্দশনাদি দিয়ে প্রেরণ করেছি এবং তাদের সঙ্গে নাজিল করেছি কিতাব ও মাপার পাল্লা, যেন মানুষ ন্যায় বিচার কায়েম করতে পারে।’(সূরা হাদিদ, আয়াত নং-২৫) অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন, যাতে মানুষ আকীদা-বিশ্বাস, আখলাক ও আমলের ক্ষেত্রে ন্যায়ের পথে চলতে পারে। শিথিলতা ও বাড়াবাড়ির রাস্তা পরিহার করে চলে। আর আল্লাহ তায়ালা পাল্লা দিয়েছেন যেন লেদদেন ও বেচাকেনায় কমবেশি না করে ইনসাফের রাস্তায় চলে। উভয়টি ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ মেজাজের বহিপ্রকাশ।

ইনসাফ ও ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে অন্যত্র তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ আদেশ করেন ইনসাফ, মঙ্গলসাধন, ও আত্মীয়স্বজনকে দান করার এবং নিষেধ করেন অশ্লীলতা, মন্দ কর্ম ও সীমালঙ্ঘন থেকে।’ (সূরা নাহ্ল-৯০) আয়াতে তিনটি বিষয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক. মানুষের আকীদা-বিশ্বাস, কাম-কাজ, স্বভাব-চরিত্র, লেনদেন, আবেগ-অনুভূতি সবই ন্যায় ও ইনসাফের মানদন্ডে নির্নিত হতে হবে, বাড়াবাড়ি বা শিথিলতার কারণে কোন দিক ঝুঁকে বা উপরে ওঠে যেতে পারবে না। কঠিন থেকে কঠিন শত্রুর সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রেও ন্যায়ের পাল্লা ফেলে দেয়া যাবে না। মানুষ নিজেকে নেকি কল্যাণের প্রতীক বানিয়ে অন্যের মঙ্গল কামনা করবে। ইনসাফেরও উর্ধ্বে ওঠে দয়া ও ক্ষমা এবং সহানুভূতি ও সমবেদনার অভ্যাস গড়বে। তিন. আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।