শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গ্যাস সংকট, রাজধানীতে জ্বলছে না চুলা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২

প্রতিবছরই শীতে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহের কমবেশি সমস্যা হয়ে থাকে। এ বছর সমস্যা প্রকট হয়েছে। গত দু-তিন বছরে কখনো সমস্যা হয়নি। কোনো কোনো এলাকায় সারা দিন রান্নার চুলাই জ্বলছে না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।

ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। শীতে সরবরাহ লাইনে সমস্যার পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

গ্যাসের সংকটে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দাদের। মিরপুরে বসবাসরত অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ সমস্যা কতোটা প্রকোট হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন জানান, প্রায় সাত বছর ধরে পরিবারসহ মিরপুরের পল্লবীতে থাকেন তিনি। প্রতিবছরই নভেম্বরের শেষ দিকে গ্যাসের সমস্যা শুরু হতো। এ বছরও তাই হয়েছে। কিন্তু দেড় সপ্তাহ ধরে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত একদমই গ্যাস থাকে না। ফলে সারাদিনের খাবার রান্না করতে হয় গভীর রাতে অথবা ভোরে উঠে।

আবার গত সাড়ে তিন বছরে কখনো গ্যাসের সমস্যা দেখেননি ধানমন্ডির কলাবাগান–এর বাসিন্দা আরিফা আক্তার। কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকে এখানেও সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ খুবই কম থাকে। এক পাতিল পানি গরম করতেও আধ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।

সংকট আরও তীব্র গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের বাড়িগুলোতে। এ সড়কের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত এক বছর থেকে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। প্রথম ছয় মাস সকাল ১০টায় গ্যাস চলে যেত, আসত দুপুরে। এরপর সকাল আটটায় গ্যাস চলে যাওয়া শুরু হয়, আসতে থাকে বেলা দুইটার দিকে। এখনো সকাল আটটায় গ্যাস চলে যায়। কিন্তু সারা দিন আর গ্যাস থাকে না, আসে সন্ধ্যায়।

এ তিন এলাকা ছাড়াও রাজধানীর জিগাতলা, হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান, সেন্ট্রাল রোড, মোহাম্মদপুরের কাটাসুর, আদাবর ১০ নম্বর, মগবাজারের মধুবাগ, আজিমপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর রসুলপুর, উত্তরার ৩ ও ১০ নম্বর সেক্টর এবং তুরাগের হরিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস–সংকটের তথ্য পাওয়া গেছে।

হঠাৎ গ্যাসের এমন সংকট সম্পর্কে জানতে দায়িত্বশীল কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীতে সরবরাহ লাইনে একধরনের ‘আর্দ্রতা’ জমে। এতে গ্যাসের চাপ একটু কমে যায়। ফলে চুলাতেও গ্যাসের চাপ কমে। কিন্তু এখন যে সংকট চলছে, তার মূলে রয়েছে গ্যাসের জোগানে ঘাটতি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দেশে এখন দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার বড় একটি অংশ আসে দেশে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। বাকি অংশের জোগান দেওয়া হয় বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) মাধ্যমে।

চাহিদা মেটাতে দেশের খনিগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্য নির্ধারিত আছে প্রায় ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট (প্রতিদিন) এবং আমদানি করা এলএনজি থেকে আসার কথা আরও এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। গত নভেম্বরেও দুই উৎস থেকে প্রায় ৩ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। কিন্তু এখন এটি ২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো নেমে এসেছে। ফলে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।

খুব শীগ্রই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।