সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাপড় বিক্রি ; দেখার যেন কেউ নেই

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২২

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিবেশ দিন দিন ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে । যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, তেলাপোকা, বিড়ালের উৎপাতে অতিষ্ঠ রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনরা। এই হাসপাতালে নতুন করে যোগ হয়েছে হাকারদের উৎপাত। হাসপাতালে চিকিৎসক নার্সদের চোখের সামনে পাপড় বিক্রি করলেও কেউ যেনো দেখে না দেখার চোখেই দেখছে না ।

পাবনা জেলায় গত কয়েকদিনে করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মাসে করোনা পরীক্ষায় পজেটিভের সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি। এদিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের প্রবেশ মুখে আবর্জনা ও টয়লেটের নোংরা দেখা যায় বলে অভিযোগ করেন রোগীরা।
বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা নমুনা সংগ্রহের পাশে মেডিসিন ওয়ার্ড আর তার পাশেই করোনা রোগীর জন্য ৪০ শয্যার একটি কক্ষ রয়েছে। করোনা সন্দেহভাজন রোগীর সঙ্গে স্বজনরা এসে আবার দেখাও করছেন। কোন রকম সাবধানতা নেই বললেই চলে।
এছাড়া হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডে রয়েছে ব্যাপক তেলাপোকার উৎপাত। বিপুল সংখ্যক বিড়ালের অত্যাচারেও অতিষ্ঠ রোগী ও রোগীর স্বজনরা। মশারও উপদ্রপ ব্যাপক ভাবে লক্ষণীয়। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক শিশুর অভিভাবক আব্দুল মতিন বলেন, বাচ্চাদের তেলাপোকা কামড়ায়। নিজেরা জেগে থেকেও রেহাই মেলে না। ডাক্তারদের বারবার বলার পরও কোনো সুফল নেই। রাতে মশার অত্যাচারে টেকা দায়।

হাসপাতালের একপাশেই স্তুপ করে ফেলা রাখা হয়েছে সিরিঞ্জ, সুচ সহ বিভিন্ন সার্জিক্যাল কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। হাসপাতালে রোগী ভর্তির পরে রোগীদের ঔষধ পত্রও ঠিকমত বিতরণ না করার অভিযোগ করেন রোগী ও স্বজনরা। জটিল শিশু রোগী ও বয়স্ক রাগীদের ওয়ার্ডে সারাদিনে একবার শুধু ডাক্তার রাউন্ড দিয়ে থাকেন বলেও জানা গেছে। কোন রোগীর অবস্থা জটিল হলেও কোন ডাক্তারকে ডাকলে রোগীর নিকট আসেন না বলেও অভিযোগ।

মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দেখছি প্রতিদিন ওয়ার্ডের ভেতরে ঢুকে হকাররা বাদাম, পাপড় বিক্রি করে। এটা কিভাবে সম্ভব হয় বুঝতে পারি না। এক অরাজক পরিবেশ বিরাজ করছে। যেন দেখার কেউ নেই।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. একেএম আবু জাফর বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেছি বহিরাগত মানুষদের আনাগোনা বন্ধ করতে। হাসপাতালের ভেতরে, ওয়ার্ডে হকারদের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও চেষ্টা প্রয়োজন। কারণ হাসপাতালের চারপাশের অনেক মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত হাসপাতালের সাথে। এছাড়া ওয়ার্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সবসময় চেষ্টা করা হয়। লোকবলও কম। সমস্যা হচ্ছে একজন রোগীর সাথে ৪/৫ জন লোক থাকে। তারাও সচেতন নয়। সবমিলিয়ে অনেক চেষ্টাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।

 

 

#চলনবিলের আলো/আপন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।