পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিম খাতুন (২১) নামের এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা উল্টর পাড়া গ্রামে। মিম খাতুন উপজেলার দিয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে। মিম খাতুন ভাঙ্গুড়া থানায় বাদী হয়ে স্বামীসহ পাঁচজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শাহীনের (২৫) সাথে ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইসলামী শরীয়া মোতাবেক মিমের সাথে শাহীনের বিয়ে হয়। তাদের ঘর আলো করে আসে একটা কন্যাসন্তান। বর্তমানে মেয়ের বয়স ১৫ মাস। বিবাহের পর থেকে মিমের শ্বশুর সাইফুল, শ্বাশুড়ি নাজমা, পার্শবর্তী চাটমোহর থানার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সোহেল ও সোহেলের স্ত্রী ঝরনা খাতুনের সহযোগিতায় স্বামী শাহিন প্রায়ই পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল মিমের উপর। গত ২০ নভেম্বর বিকাল তিনটার দিকে শাহিন আলী পাথরঘাটা চক্র পাড়া-মহল্লার আশরাফ আলীর মেয়ে রিয়াকে (১৮) প্রথম স্ত্রী মিমের অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিবাহ করে বাড়ী হতে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা কালে মিমের স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে রাখবে এবং মিমের সন্তানের নামে ফিক্স-ডিপোজিট হিসেবে এক লক্ষ টাকা দিবে মর্মে জানালে সন্তানের কথা চিন্তা করে মিম রাজি হয়। এমতাবস্থায় ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহিন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে মীমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে শারীরিক ভাবে বিভিন্ন স্থানে ছিলা জখম করে। এসময় আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীনের সাথে মুঠোফনে এশাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মু.ফয়সাল বিন আহসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন