সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আলমডাঙ্গায় অধিকাংশ ইটভাটার নেই বৈধ কাগজপত্র কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ-খড়ি

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

আলমডাঙ্গার অধিকাংশ ইটভাটার নেই লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজ পত্র। কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ-খড়ি। ভাটা মালিকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত দূষিত করছে পরিবেশ। ক্ষতি করছে কৃষি জমির।

এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। গতকাল সোমবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে ভাটামালিকদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০ টি ইটভাটা। এসব ইটভাটায় দু’একটি বাদে কোন ইটভাটার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। ফসলি জমির মধ্যে অনুমোদনহীন এসব ভাটা গড়ে তুলে ক্ষতি করছে ফসলি জমির। এসব ভাটার কাচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফসলি জমির মাটি কেটে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। একটি চক্র নদী,খাল থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে এসব ভাটায়। এরা টলি ভরে আনার সময় রাস্তায় মাটি ফেলে রেখে পরিবেশ বিপর্যস্ত করে তুলছে। ফলে বৃষ্টি হলেই ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃস্টি হচ্ছে।

ভাটামালিকরা একদিকে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ইটভাটা, অন্যদিকে এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ- খড়ি। ইট ভাটার মূল ক্লেন এর পাশেই বিপুল পরিমাণ কাঠ খড়ি স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

এদিকে গতকাল সোমবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকজন বক্তা ভাটাই কয়লার পরিবর্তে কাঠ-খড়ি পোড়ানোসহ অবৈধভাটা বন্ধের বিষয়টি উত্থাপন করলে এবিষয়ে তদন্ত টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইটভাটা সমিতিতে ভাটা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে দিয়ে চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত কাঠ পোড়ানোর অনুমতি লাভ করে। ১৫ জানুয়ারী পার হয়ে গেলেও বেশ কয়েকটি ইটভাটায় কাঠ-খড়ি পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।অভিযোগের ভিত্তিতে
গতকাল সোমবার সরেজমিনে ফরিদপুর রাস্তার পাশে সেলিম (জাবর), বন্ডবিলে মতিয়ার রহমান বাবু, কুমারির আব্দুল মজিদ সহ বেশ কয়েকটি ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে ভাটার মূল ক্লেনের পাশেই পোড়ানোর উপযোগী করে কাঠ খড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছে। কয়লার পরিবর্তে এই দুটি ভাটায় দেদারচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠের খড়ি। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।