ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের ভোটগ্রহণের ফলাফল পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মোঃ এখলাস উদ্দিন নয়ন।
তার অভিযোগ নির্বাচনে তাকে পরাজিত করতে অনিয়ম ও কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি ভোটার তালিকায় থাকা মৃত ও প্রবাসী ব্যক্তিদের ভোটও গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে রবিবার (৯ জানুয়ারি) গৌরীপুর ইউনিয়নের রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ নাজিমুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন এখলাস উদ্দিন নয়ন।
চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর গৌরীপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরষিদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহণ শেষে মোঃ আনোয়ার হোসেন মোরগ প্রতীকে ৭২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হন। অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে আনোয়ার হোসাইন মোরগ প্রতীকে ৩৯৯ ভোট ও এখলাস উদ্দিন নয়ন আপেল প্রতীকে ৩৮৯ ভোট পান।
৯ নং ওয়ার্ডের মোট ভোটার ২০৪০ জন। নির্বাচনে ১৯৬৪ জন ভোট দিয়েছেন। বাতিল ভোট ৪৫২। ভোটে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে ৭৬ জনকে।
এদিকে, নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে ৭৬ জন ভোট দেননি বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পরাজিত প্রার্থী এখলাস উদ্দিন নয়ন অনুপস্থিত ভোটারদের খোঁজ নেন। এতে তিনি ৫৪ জন মৃত এবং প্রবাসী ও চাকরিজনিত কারণে অনুপস্থিত থাকা আরো ৩৫ জনের তালিকা করেন, যারা ভোটের দিন ভোট দিতে আসেননি। ভোট পুনঃগণনার দাবিতে দেয়া অভিযোগে এসব বিষয় উল্লেখ করেন এখলাস উদ্দিন নয়ন।
এখলাছ উদ্দিন নয়ন বলেন, ২০৪০ ভোটের মধ্যে যদি ১৯৬৪ ভোট দেন। তাহলে মৃত, প্রবাসী ও চাকরির কারণে গ্রামের বাইরে থাকা ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন। কিন্ত এটা কিভাবে সম্ভব। তাই আমি ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছি।
বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ সত্য নয়।
রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ নাজিমুল ইসলাম বলেন, এখলাছ উদ্দিন ওরফে নয়নের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবো। ভোট পুনঃগণনার বিষয়টি আইনিভাবে সমাধান করতে হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন