সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আগৈলঝাড়ায় টাকার বিনময়ে নতুন বই নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২২

সরকার সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করলেও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাধ্যমিক স্তরের কিছু স্কুলে শিক্ষার্থীদের বই পেতে গুনতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫শ টাকা। সরকারের মহতি উদ্যোগ দু’একটি প্রতিষ্ঠানের কারনে ম্লান হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিকার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ সচেতন মহল।
নিয়ম নীতির বাইরে পুরান বই স্কুলে জমা নেয়া ও টাকা নিয়ে বই দেয়ার কোন সদোত্তর মেলে না প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে, টাকার বিনিময়ে বই নেয়ার ঘটনায় ইউএনওর কাছে অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ দায়ের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দায়ের করা উপজেলার পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মাকসুদ হাসান ও রুবেল শেখ জানান, স্কুলের দাবি করা ৪শ টাকা পরিশোধ করে তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন বই সংগ্রহ করতে হয়েছে। একইভাবে যারা বই সংগ্রহ করেছেন তাদের সবারই বিনামূল্যের বই পেতে গুনতে হয়েছে টাকা। ওই ৪শ টাকা না দেয়া পর্যন্ত নতুন বই পায়নি তারা। এর মধ্যে ৩শ ৫০টাকায় বই এবং ৫০ টাকা ভর্তি ফি’র জন্য নেয়া হলেও স্কুল থেকে প্রদান করা রশিদে বই বা ভর্তি ফি কোনটাই নির্দ্দিষ্ট করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানকে টাকার রশিদ প্রদান করতে বলায় তাদের ৪শ টাকার দুটি রশিদ দেয়া হয়েছে মাত্র।
একই ভাবে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যমে সরকারের নতুন বই বিতরণের অভিযোগ রয়েছে রাজিহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির শিক্ষার্থীর অভিভাবক পত্রিকা বিক্রেতা সিরাজ হাওলাদারসহ অনেকেই জানিয়েছেন তারা বছরের প্রথম দিন বই পায় নি। আর স্কুল থেকে জানানো হয়েছে পুরান বই জমা দিয়ে নতুন বই সংগহ করতে সাড়ে ৪শ টাকা লাগবে। বছরের প্রথম দিন টাকা নিয়ে বই সংগ্রহ করতে আসা অভিভাবকদের অভিযোগ সম্পর্কে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়। বিষয়টি নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস অবহিত হলে ওই দুটি স্কুল কর্তৃপক্ষ অবহিত হয়ে টাকা আদায়ের নতুন কৌশল হিসেবে ওই দিন হাতে গোনা কিছু শিক্ষার্থীদের বই দিয়ে দুপুরের আগেই তা বন্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেযা হয়, সকল নতুন বই আসেনি, আজ পুরান বই জমা নেয়া হবে পরে নতুন বই প্রদান করা হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহায়ক মন্টু রঞ্জন হালদার জানিয়েছে, নতুন বই বিতরণের জন্য স্কুলে পুরান বই জমা নেয়ার কোন বিধান নাই এবং নতুন বই পেতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা আদায় করা যাবে না। তবে উপজেলায় বইয়ের সংকট রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, স্কুল থেকে বিনা মূল্যে বই প্রদান করা হচ্ছে। তবে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি ফরম বাবদ ৫০টাকা, মিলাদ ও পুজার ফি বাবদ ৮০টাকা, ভর্তি ফি ২২০টাকা এবং ভর্তি পরীক্ষা বাবদ ৫০ টাকাসহ মোট ৪শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এই টাকার রশিদও প্রদান করা হয়েছে।
স্কুলের প্রদান করা রশিদে টাকা আদায়ের কোন খাতের উল্লেখ না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন এটা হয়তো যে রশিদ কাটে তার ভুল।
রাজিহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন- টাকা দিয়ে বই নেয়ার ব্যাপারে তার জানা নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।