কয়েকদিনের মধ্যেই ফার্মের ব্রয়লার মুরগি এর দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। লকডাউনের সময় ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ফার্মের মুরগির দাম এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা হয়ে গেছে তাড়াশ উপজেলায় গ্রামঞ্চালে।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে সোনালী মুরগির দামও বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। অবশ্য এরপরও শীতের সবজির ভরা মৌসুমে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
সোমবার ৩ (ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর চার সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির। ব্যবসায়ীরা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। আর তিন সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা।
মুরগির দামের বিষয়ে মান্নান নগরের বাজারের ব্যবসায়ী সাইদার বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। এ কারণে দফায় দফায় দাম বাড়ছে। দাম বাড়ার প্রবণতা দেখে আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেই ধারণা করেছিলাম যে কোনো সময় কেজি ২০০ টাকা হয়ে যাবে
নওগাঁর ব্যবসায়ী মো. রজাউল বলেন, যে হারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে, তাতে কেজি আড়াইশ’ টাকা হলেও আমরা অবাক হবো না। কারণ গতকালই ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ টাকা বিক্রি করেছি। একদিনের ব্যবধানেই এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা হয়েছে।
মান্নান নগরের বাজারে মুরগি কিনতে আসা মো. মুন্না বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখেছি। আজ বাজারে এসে দেখি ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের কপাল থেকে মাংস উঠে যাবে। সংশ্লিষ্টদের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
মহিষলুটি বাজারে কথা হয় মাছের ব্যবসিক বেল্লালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঠিকমতো বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ছে। এভাবে দাম বাড়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
মুরগির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
#চলনবিলের আলো / আপন