রবিবার , ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আনোয়ার খান মর্ডান হসপিটাল এ ১ ঘন্টা অক্সিজেন এর বিল ৮৬ হাজার টাকা ; ব্যবস্থাপনা সম্পাদক

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০

অমিত হাসান হৃদয়:

আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর স্বজন। সম্প্রতি এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক (৬৭)। তার ছেলে অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিনে মাত্র ৩০ মিনিট অক্সিজেন ব্যবহারের বিল দিতে হয়েছে ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা। ডিউটি ডাক্তার ছাড়া কোনো চিকিৎসকই তার বাবাকে দেখেনি হাসপাতালে। তবুও চিকিৎসকের কনসালটেন্ট ফি দিতে হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা।মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. তৌহিদুল হক সোহেল গণমাধ্যমকে জানান, আমার বাবা চট্টগ্রামে থাকতেন। সেখানে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পরেই ঢাকায় এনেছি। বাবার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গই ছিলো না। তবুও যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেকারণে তাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করছিলাম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার রুমে কোনো চিকিৎসক যায়নি। এক দিন শুধু একজন ডাক্তার দরজা থেকে হাত ঈশারা দিয়েছেন। তবুও চিকিৎসকের কনসালটেন্ট ফি দিতে হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া কোনো ক্লিনার বা অন্য কেউ যায়নি তার রুমে। তবুও রুমের সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

 

এই মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বলেন, সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয় হলো আমার বাবার কোনো শ্বাসকষ্ট ছিল না। তাকে আমি নিজেই অক্সিমিটার কিনে দিয়েছিলাম। দুই দিন তার সামান্য অক্সিজেনের দরকার হয়েছে। মাত্র ১০/১৫ মিনিট করে দুই দিনে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট অক্সিজেন নিতে হয়েছে বাবাকে। তবু্ও সেই অক্সিজেনের বিল তারা করেছেন ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা। আমি হাসপাতালে জিজ্ঞাসা করছিলাম প্রতি ঘণ্টা অক্সিজেনের বিল কত? তারা তখন আমাকে জানায় ঘণ্টা ৪০০ টাকা। যদি সেই হিসেবেও ধরি যে দুই দিন ২৪ ঘণ্টাই বাবার অক্সিজেন লেগেছে। তবুও তো এত বিল হবে না। মোজাম্মেল হকের বিলে লেখা আছে, হাসপাতালে ৯ দিনে ২১৬ ঘণ্টার বিল অক্সিজেন বিল ৪০০ টাকা হিসাবে ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। হাসপাতালের বিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪২০ টাকা। চিকিৎসকের ফি ৪৯ হাজার টাকা। ইনভেস্টিগেশন বিল ৮ হাজার ১৭০ টাকা এবং ওষুধের বিল ধরে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৭৫২ টাকা। আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের ম্যানেজার মো. নেওয়াজ বলেছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অক্সিজেনের বিল প্রতি ঘণ্টায় কত টাকা এটাও আমি জানি না। এই বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। পরে অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। এর আগে, মো. হুমায়ুন ( ৪১) নামে ফকিরাপুলের এক করোনা রোগীর কাছ থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকার বিল দাবি করে আনোয়ার খান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এত টাকার বিল দেখে মাথায় হাত পড়ে সেই অসহায় রোগীর।

 

পরে সেই বিলের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার নানা মাধ্যমে যোগাযোগ করে শুধুমাত্র ২০ হাজার ৭০০ টাকা বিল পরিশোধ করে রিলিজ পান তিনি৷ একই ঘটনা ঘটেছিল সাইফুর রহমান নামের অপর এক করোনারোগীর সঙ্গেও। সেই রোগীর কাছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল দাবি করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পরে রাতেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ওই রোগী ছাড়া পেয়ে বাসায় গিয়েছিলেন। পরে দুঃখপ্রকাশ করে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দেয় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল। এছাড়াও পুরাতন ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় ধুপখোলা মাঠের পাশে অবস্থিত নাম করা আজগর আলী হসপিটাল সেখানে গিয়ে ও একই অবস্থা দেখা যায় সেখানে এক রুগী হাফসা বেগম রিতার সজনরা জানান মাথায় সমস্যা নিয়ে ৩৬ ঘন্টা ছিলাম হসপিটাল এ আমার রুগীর কোনো চিকিৎসা ছাড়া ৪৭ হাজার টাকা বিল করে দিয়েছে। এভাবে আস্তে আস্তে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতে দূর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে তাই এখনই সময় সরকার এর এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।