দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি একটি বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল; তবে কাছে গিয়ে দেখা যায় এটা একটি ভোট কেন্দ্র। রবিবার দুপুরে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকটা বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেলের মতো অস্থায়ীভাবে প্যান্ডেল নির্মান করে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক আহম্মেদ হাওলাদার জানান, ৪নং ওয়ার্ডে স্থায়ী কোন স্কুল না থাকায় ফাঁকা মাঠে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র হলেও অনেকটা আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে এখানে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ষাটোর্ধ্ব রেনু বেগম জানান, নিজেদের জমিতে ফাঁকা জায়গায় ভোট দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। অপর ভোটার আনিসুর রহমান বলেন, খোলা মাঠের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশে ভোট দিতে পেরে শুধু আমি একাই নই; গ্রামবাসী সবাই আনন্দিত।
ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ ইউনুস আলী বলেন, ৪নং ওয়ার্ডে থাকা একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কয়েক বছর পূর্বে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এরপর পার্শ্ববর্তী ৫নং ওয়ার্ডে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও ৪নং ওয়ার্ডে কোন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভোটের জন্য ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে ভোট দিতে আগ্রহী না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় তোফাজ্জেল মিয়ার বাড়ির পাশের খোলা মাঠে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে মাঠের মধ্যে কাঁদা থাকায় বৃদ্ধ ভোটারদের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।
ওই ওয়ার্ডে মোরগ মার্কা নিয়ে সাধারণ ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী নাজমুন নাহার নাজমা বলেন, খোলা মাঠের মধ্যে ভোট কেন্দ্র হওয়ায় শীতের সকাল থেকে সবাই ভিন্ন আমেজে ভোট দিচ্ছেন। বই প্রতীক নিয়ে সংরক্ষিত পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী পারুল বেগম বলেন, ফাঁকা মাঠের মধ্যে ভোট কেন্দ্র হওয়ায় এখানে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না। তাছাড়া আইন শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ভোট কেন্দ্রে সহজেই নিরাপত্তা দিতে পারছেন।
#চলনবিলের আলো / আপন