আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অবস্থান করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির দলীয় প্রতীক ছাড়াই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অবস্থান করছে ২জন প্রার্থী (আব্দুল মান্নান ও মাসুদ রানা)।
নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচনের জোরালো প্রচার-প্রচারণা চলছে। ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীগণ। তবে, এ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৮ জনসহ মোট ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী শক্তিশালীভাবে অবস্থান করছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। ৪টা ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে কোণঠাসায় পরিণত হচ্ছে নৌকা।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও দলীয় অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে নৌকা প্রতীকে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করলেও নৌকার বিপক্ষে গিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে ভোট-যুদ্ধে লড়াই করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীগণ। এতে করে নৌকার প্রার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। তাই নৌকার পক্ষে ভোট না চেয়ে নিজ প্রতীকের ভোট প্রার্থনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এ যেন ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’।
জানা গেছে, ৩নং অষ্টমনিষা ইউপিতে নৌকা প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোছা. সুলতানা জাহান বকুলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল হক (ঘোড়া) ও আব্দুল মান্নান (আনরস)। ২নং খানমরিচ ইউপিতে নৌকা প্রার্থী মো. নুর উন্ নবী মন্ডলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন মিঠু (ঘোড়া)। ৫নং পার-ভাঙ্গুড়া ইউপিতে নৌকা প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হিদায়েত উল্লার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান বাদশা (আনারশ) ও নুর মোহাম্মদ মাষ্টার ঘোড়া)। ৪নং দিলপাশার ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুদ রানা (চশমা), মো. শাহালম (আনারস), মো. আব্দুল হান্নান (মোটরসাইকেল), মো. পলাশ (সিএনজি) ও হাসেম খান (ঘোড়া)।
তবে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেকেই নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় এবং ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তা বেশি তথা জনমতের কারণেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ভোটাররা জানান, ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকাই ভালো ছিল। তবে আমরা ব্যক্তি বিশেষ বিবেচনা করে নৌকা বা স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট দিবো।
নৌকা প্রার্থীরা জানান, তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপে বিচার-বিশ্লেষণ পেরিয়ে আমরা যারা নৌকার প্রার্থী হয়েছি অবশ্যই তারা যোগ্য ব্যক্তি। আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অবস্থান করায় ইতোমধ্যে পদে থাকা ৩ জন দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন।
#চলনবিলের আলো / আপন