বৃহস্পতিবার , ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় ১১২ হেক্টর জমিতে ফুল কপির চাষ

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১
অন্যান্য সবজির চেয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। আটঘরিয়ায় কপি চাষে ঝুঁকেছেন স্থানীয় কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষেতে ফলনও হয়েছে বাম্পার। তাই কপি চাষে লাভের আশা করছেন তারা। উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের হেদাসখোল গ্রামের কপি চাষি সাইদুল  জানান, অন্য ফসলের চেয়ে কপি চাষে খরচ ও খাটুনি দুটিই কম। ধান চাষে যেমন খরচ তেমনি রোপনের পর থেকে নানা দুঃচিন্তায় থাকতে হয়। তাই ধানের বদলে আগাম কপি সবজিচাষে ঝুঁকছেন তারা।
এরমধ্যে পাতাকপি ও ফুলকপি এখন মুখ্য ফসল। এই মৌসুমে অনাবাদি ও উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম কপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মাচা পদ্ধতির মাধ্যমে আশ্বিন মাসে চারা তৈরি করেন কৃষক। এরপর আশ্বিনের মাঝামাঝি ও কার্তিকের প্রথম থেকেই কপির আবাদ শুরু করেন।
একই গ্রামের কৃষক বাজু খন্দকার  বলেন, চলতি মৌসুমে আমি আমার ২ বিঘা জমিতে কপির আবাদ করছি । কিছু দিনের মধ্যে কপিতে ফুল আসবে বলে আশা করছি । এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধান আবাদ করে লাভ তো দুরের কথা খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খেতে হয়।
একই গ্রামের আরেক কৃষক  বলেন, বিঘা প্রতি কপি চাষে খরচ ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কপি উৎপাদন হয় ৮০ থেকে ৮৫ মণ। এতে সার, বীজ, কিষান, (শ্রমিক) হাল, নিড়ানি, পরিবহন খরচ (১৫ হাজার টাকা) বাদে লাভ থাকবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা
উজেলা কৃষি কমকর্তা সজীব আল মারুফ  জানান, ফুল কপি আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় ফসল। কৃষকের জন্য লাভজনক। বিশেষ করে রবি মৌসুম এবং রবি মৌসুমের আগের এগুলা আবাদ করে কৃষক। সিজোনাল ফুলকপি আছে তার চেয়ে দ্বিগুন লাভ করে এই কপি। এই মুহূত্বে আটঘরিয়া উপজেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে ফুল কপির চাষ হয়েছে। ফুল কপির জাত গুলো বেশী ভাগই হাইব্রীট জাতের হওয়ার কারনে তুলনা মূলক ভাবে দেশী জাতের চেয়ে ফলন অনেক বেশী হয়।
বর্তমানে ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং কৃষক ভালো দামও পাচ্ছে। আমাদের এখানকার যে ফুলকপি উৎপাদিত হচ্ছে তার বেশী ভাগই যাচ্ছে ঢাকাতে। যার কারনে কৃষকেরা এগুলো বিক্রয় নিয়ে কোন অসুবিধায় পড়ছে না। জমি থেকেই কৃষক এটা বিক্রয় করতে পারছে। আমরা আশা করি যে, আগামীতে আমাদের উচ্চ মূল্যের ফসলের মধ্যে ফুলকপি বাঁধাকপি এই ফসলগুলা আরোও বেশী চাষ হবে। আমরা সবসময় কৃষকদের কে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করি। কীটনাশক এর ব্যবহার কমিয়ে আমরা আমাদের উৎপাদন টাকে অব্যাহত রাখতে পারি। সে প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে আমরা দিচ্ছি।
নিরাপদ ফসল উৎপাদনে টেকনোলজি যেমন টেরামনসার জৈব্য কীটনাশক এইগুলো ব্যাবহারের জন্য আমরা কৃষকদের সহায়তা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরোও বলেন, ফুলকপিতে সাধারণত ফুলপঁচা রোগটা মাঝে মাঝে দেখা যায়। বিভিন্ন জৈব বালাইন্যাশক আছে যেমন- ট্রাইফোগ্রাম গুলো এস্প্রে করি তাহলে এই সমস্যা চলে যাবে। কপিতে শোড়ল পোকার আক্রমণটা বেশী হয়। বিভিন্ন ধরনের থেরামন দিয়েও এগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কৃষকের ঘরে এই ফসল উঠতে বীজতলা থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। কপির বর্তমান বাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ বাদে কৃষকের থাকবে।
ওই এলাকার মাটি কপি চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের আগ্রহ দিনের পর দিন বাড়ছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।