বৃহস্পতিবার , ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শার্শায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১

জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে যশোরের শার্শা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান সহ বিভিন্ন ফসলি জমি। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার শতশত কৃষকরা। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে আমন ধান সহ বিভিন্ন রবিশস্য।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে শার্শা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষেতের ফসল। শত শত কৃষকের শেষ স্বপ্ন আমন ধান ডুবে রয়েছে পানিতে। রবি শস্য ও সবজি ক্ষেতের একই অবস্থা। কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও মাজা পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে কৃষকের শেষ স্বপ্ন।

শার্শা উপজেলার বেনাপোল, পুটখালী,  বাগআঁচড়া, কাশিপুর এলাকার কাটা ধানসহ শত শত হেক্টর ধান, সরিষা, মসুর সহ সবজি ক্ষেত জমে থাকা পানিতে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। শেষ সম্বল সহ এনজিওর ঋণের বোঝা নিয়ে ক্ষেতে টাকা বসায়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে গভীর চিন্তায় মাথায় হাত উঠেছে তাদের। রবি শস্য সহ ধানের ব্যাপক ক্ষতি কখনো পোষানো যাবেনা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

কৃষকরা আরো বলেন ডুবে যাওয়া এ সমস্ত আবাদি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পর কিছুটা ধীর গতিতে পানি টানতে শুরু করেছে। পরিপূর্ণ পানি সরে যাওয়ার আগেই চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে যাবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের পরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল বলেন চলতি বছরে এই উপজেলায় ২০ হাজার ৩৮০ হেক্টর ধান, ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর সরিষা এবং ৮৩০ হেক্টর জমিতে  মসুরের আবাদ হয়েছে। ধানের পাশাপাশি সরিষা এবং মসূরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা একজন কৃষকের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা সব সময় নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষযোগ্য ফসল করতে সার বীজসহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করা হবে কৃষকদের।

ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কৃষকের সৃষ্ট এ ক্ষতি পুষাবার নয়। কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে অতি দ্রুত প্রয়োজন সরকারের প্রণোদনা। এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য কামনা করেছেন এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।