বৃহস্পতিবার , ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বেশি বেশি পরীক্ষায় জোর সফররত চীনা চিকিৎসকদের

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চীনের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বা টিকা তৈরিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হলে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই ভ্যাকসিন দেবে চীন। রোববার বিকেলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাবের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা জানান সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা করোনা মোকাবিলায় বেশি বেশি পরীক্ষা ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লকডাউন কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের অসচেতনতায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এই বিশেষজ্ঞরা। এ সময় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়া লং ইয়ান জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ আরও কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে সে সম্পর্কে সুপারিশসহ চারটি প্রতিবেদন জমা দেবে চীনা বিশেষজ্ঞ দল।

 

এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অনলাইনে জুম ক্লাউড প্ল্যাটফরমে অনুষ্ঠিত এ সভায় ডা. শুমিং জিয়ানু সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এ সময় ডিক্যাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি। ডা. জিয়ানু বলেন, প্রতিটি দেশে কভিড-১৯ মহামারি একেক ধরনের অবস্থা তৈরি করেছে। যেমন চীনের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উপসর্গবিহীন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বলে তারা অগোচরেই সংক্রামক হিসেবে কাজ করছে। এর ফলে সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি আরও বেশি পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং মানুষের সচেতনতা। তিনি উপসর্গ ধরে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ফুসফুসে সংক্রমণ হলে যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে কোন অ্যান্টিবায়োটিক কী মাত্রায় দিতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থা (পিক) চলছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। যে পরিস্থিতি দেখা গেছে তাতে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব কবে করোনাভাইরাসমুক্ত হবে কিংবা এ ভাইরাসের স্থায়িত্ব কতদিন হবে তা কেবল এ বিষয়ের গবেষকরাই বলতে পারেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন বলেন, বাংলাদেশ চীনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতম বন্ধুরাষ্ট্র। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর পরামর্শ দেওয়ার জন্যই চীনা বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফর। শিগগির যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে সেখানে এ পরামর্শগুলোই থাকবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।