পাবনার আটঘরিয়ায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আলহাজ ইশারত আলী (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দিতা করায় নিজ বাড়ীতে দূর্বৃত্তদের গুলিবর্ষন ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় “সংবাদ সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর বাওঐকোলা তার নিজ বাসভবন অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলহাজ ইশারত আলী বলেন, আমি চর্তুথ ধাপে আটঘরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আমি। আমি দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তিনবার চাঁদভা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর আটঘরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) হিসেবে আমি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে শহিদুল ইসলাম রতন, তার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম এর বাহিনী আব্দুল হালিম খান, গোলাম মওলা পান্নু, বুলবুল, আহসানুল্লাহ, তমাল, হাবিব গং আমার মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করার জন্য আমার সমর্থনকারিদের উপর ব্যাপ নির্যাতন ও প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম রতন ও তার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিতায় বলছে নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী থাকবে না। শহিদুল ইসলাম রতন বিনা ভোটের মেয়র হবার জন্য অত্যান্ত মরিয়া হয়ে উঠেছে। তার ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম এর বাহিনী সব সময় আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে মো: হাসিনুর রহমানকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০০ সর্মথনকারির সই আনতে পাঠালে ভাতিজাকে তারা ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন এবং মনোনয়ন ফর্মের ১০০ সমর্থনের কপি ঝিড়ে ফেলেন। আমি গত ২৫ নভেম্বর বিকালে দেবোত্তর ঝড়পাড়ায় জীবন নামক এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে সন্ধায় চা খাচ্ছিলাম এর মধ্যে তাদের গুন্ডাবাহিনী ৩০/৩৫ জনের একটি দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা করেন ও অসদাচারন করেন এবং আমি তাদের ভয়ভীতির কারণে সেখান থেকে বাড়ীতে চলে আসি। বাপ-বেটার ক্ষমতার দাপটের কাছে আটঘরিয়ার সাধারন মানুষ জিম্মী হয়ে পড়েছে। ওইদিন বৃহষ্পতিবার রাত ৯.৯৯ মিনিটে ভয়ভীতি ও প্রাননাশের জন্য কে বা কাহারা রাস্তা থেকে আমার বাড়ী লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে আমার বা আমার পরিবারের সদস্যদের কোন ক্ষতি হয়নি।
তাৎক্ষনিক বিষয়টি আটঘরিয়া থানা পুলিশকে অবগত করা হলে ঘটনাস্থল ওসি পরিদর্শন করেন। এসময় এসপি (সার্কেল) উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামতসহ ০২টি গুলির খোসা উদ্ধার করেন। এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে এই রকম কলুষিত রাজনৈতিক শূষ্ঠাচার বর্হিভূত ভোটের মধ্যে এটাই প্রথম। আসন্ন পৌর নির্বাচনে নিজেকে এবং আমার কর্মীসহ সাধারন ভোটারদের নিরাপদ ভাবতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃক্সখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা একটি নিরপক্ষ পৌর নির্বাচন দয়াকরে উপহার দিবেন। আমার কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার যেখানে অবাধ নিরপক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দেশের জনগনকে উপহার দিবেন। প্রতিশ্রুতি বদ্ধ সেখানে আটঘরিয়া পৌর নির্বাচনে কি ঘটছে তা দেশ বাসীর জানার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
#চলনবিলের আলো / আপন