সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় স্কুলশিক্ষার্থী ফারুক হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

পাবনায় ভাঙ্গুড়ার দীর্ঘ ১২ বছর পর স্কুলশিক্ষার্থী ফারুক হোসেন (১৯) হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৭ নভেম্বর বুধবার পাবনার স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন।

ফারুক হোসেন পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া সাইদুল ইসলামের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া এলাকার সুধির চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), চৌবাড়িয়া গ্রামের রুন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেল ইউসুফ আলী (২২), চৌবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৪৫), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী মন্তোষের ছেল প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২) ও বিলকিস বেগম (৪০)।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আসামি আব্দুল করিম (৪৫) এবং বিলকিস বেগম (৪০) আদালতে রায় প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্র ফারুক হোসেনকে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার পর একটি পুকুরে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। এক সপ্তাহ পর ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান আলীর পুকুরে ছেলেরা গোসল করতে নামলে কচুরিপানার মধ্যে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত ফারুখের মা আনোয়ারা খাতুন ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের সবাইকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তদন্তের পর ১০ জনের নামে চার্জশিট প্রদান করে। এদের মধ্যে ২ আসামিকে গ্রেফতার করা গেলেও অন্যরা এখনো পলাতক।

দীর্ঘ ১২ বছর পর এ মামলার রায়ে আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং অন্যদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে নিরঅপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।