সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় জমে উঠছে শীতের গরম কাপড়ের জমজমাট ব্যবসা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

পাবনার আটঘরিয়ার বিভিন্ন বাজারে সবচেয়ে বেশি ভীড় শীতের কাপড়রের দোকানে। শহরের বাইরে গ্রামের বাজার গুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। শুধু আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে কয়েক লাখ টাকার গরম কাপড়। শীত শুরু সাথে সাথে মানুষ তাই ছুটছে শীতের গরম কাপড়রের দোকানে।

 

আটঘরিয়া বাজার, দেবোত্তর বাজার,একদন্ত বাজার, খিদিপুর বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে সবচেয়ে বেশি কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এই সকল মার্কেটে ছোট-বড় প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। শীতকে কেন্দ্র করে আটঘরিয়া উপজেলার বাহির থেকেও অনেকেই এখানে ব্যবসা করতে আসেন। ¯^ল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের পদচারনায় মুখরিত আটঘরিয়ার পুরাতন কাপড়রের বাজার।

 

শীতের নতুন কাপড়রের চেয়ে বিদেশি পুরনো কাপড়রের চাহিদা বেশি বলে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। বিদেশি পুরনো শীতের কাপড়রের দাম তুলনামুলক কম। তাছাড়া এই কাপড় গুলো দেখতে সুন্দর, মানসম্পন্ন ও টেকসই হওয়ায় ক্রেতাদের এসব কাপডরের আগ্রহ বেশি।

 

আশে-পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ শহরে আসছে গরম কাপড় কিনতে। পুরাতন শীতবস্ত্রের দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তারপরও নতুনের চেয়ে তুলনামূলক কম দাম বলে শহর-গ্রামের সব শ্রেণীর মানুষ এখান থেকে শীতের পোশাক কিনছে।

 

কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ওভারকোট, হাফ ও ফুল হাতা গেঞ্জি, কম্বল, মেয়েদের কার্টিগান, হাতমোজা ও পা মোজার ক্রেতার সংখ্যা বেশি। এখানে প্রতিদিনই শত শত মানুষ শীতের গরম কাপড় কিনতে ভীড় জমাচ্ছে। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর পুরাতন কাপড়রের দাম অনেক বেশি বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। প্রতিবছরেই দাম কিছুটা বাড়ে বলে তারা মনে করেন।

 

ব্যবসায়ীরা আভিযোগ করেছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পুরাতন কাপড়রের দাম ব্যবসায়িরা বেশি করে নিচ্ছেন। ফলে তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতাদেরও অভিযোগ, দাম বেশি দিতে হচ্ছে।

 

পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর শীতের সময় মহাজনদের কাছ থেকে গরম কাপড়রের গাইড নিয়ে তা খোলা বাজারে খুচরা বিক্রি করেন । গত বছর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় একটি কাপড়রের গাইট বা বেল কেনা যেতো। এ বছর একটি গরম কাপড়রের গাইড বা বেল কিনতে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগে।

 

পুরাতন কাপড়রের পাইকারী ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) বলেন, “শীত উপল¶ে চীন, তাইওয়ান, জাপান,  কোরিয়া ও রাশিয়া থেকে পুরাতন শীতবস্ত্র আসছে। পরিবহন খরচ, ব্যাংক ঋণের কারণে কাপড়রের বেলের দাম বেড়ে গেছে। আমরা পাইকারী বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম,ঢাকা ও রংপুর থেকে কাপড়রের বেল ট্রাকে করে আনি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। সবকিছুর দাম বাড়ে ফলে কাপড়ের দামও বাড়ছে।

 

তিনি বলেন, আমরা ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের বাকিতে কাপড় দেই, তারা বিক্রি করে টাকা শোধ করে। আমরা ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা চালাই কিন্ত ব্যাংকগুলো বেশি টাকা লোন দিতে চায় না। আবার অনেক কিছু ম্যানেজ করতে আমাদের খরচ বেশি পড়ে।

 

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর বাচ্চাদের যে কাপড় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তা এবার ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ১৫০ থেকে ১৭৫-২০০ টাকায় কেনা গেছে, এবার তা কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। বাজারের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি শীতবস্ত্রের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি।

 

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।