শীতের বার্তা নিয়ে শিশিরের বিন্দু জলের দখলে এখন প্রকৃতি। প্রকৃতিতে চলছে হেমন্তকাল, তাই ধানের শীষে শিশিরের বিন্দু-বিন্দু জলে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি ফসল ধান। এমন দৃশ্যে কৃষকের বুকে জেগে উঠেছে স্বপ্নের সোনালি চর। এরেই মধ্যে শুরু হয়েছে রোপা-আমন ধান কাটা মাড়াই। নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে হেমন্তের মিষ্টি রোদে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক ও দিনমজুরদের। এ বছর রাণীনগর উপজেলায় আশানুরূপ ধানের ফলন পাচ্ছে কৃষক। বেশ ভালো ফলন হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জনের আশা প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কাটা-মাড়াই মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় উৎফুল্ল হাসি শোভা পাচ্ছে কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে।
রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর রাণীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৩শত ৬০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষ হয়েছে। রোপা-আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ১শত মেট্রিকটন।
এই এলাকায় বিনা-১৭,স্বর্ণা-৫, ৪৯ ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, রাশিয়ান (পারিজা) এবং আতব জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে। এখন কৃষক স্বর্ণা-৫ ও রাশিয়ান ধান কাটছে।
উপজেলার সিম্বা গ্রামের সাজু, খয়বর আলী, সুফল হোসেন এবং কালিগ্রামের ওহেদুল ইসলাম মিলন জানান, এখন আমাদের এলাকায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। বর্তমান বাজারে স্বর্ণা-৫ প্রতিমণ ৯৮০ টাকা, রাশিয়ান (পারিজা) ১১৫০, ৪৯ জাতের ধান ১০৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ হারে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের ফলন হচ্ছে, রাশিয়ান (আমন) ধান প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১১ মণ হারে ফলন হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা জুরে ধান কাটা শুরু হয়েছে, ফলনও ভালো হচ্ছে। ধানের বাজার দরও বেশ ভালো রয়েছে। আশা করছি এ বছর আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
#চলনবিলের আলো / আপন