উত্তরের হিমেল হাওয়া হাড়ে কাপন লাগিয়ে দেয়। ভোর বেলায় ঘন কুয়াশা আর সকালের প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাসে মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। উচ্চ বিত্ত মানুষেরা শীতে বাহিরে না গেলেও বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির অসহায় মানুষদের কষ্টের যেন শেষ থাকেনা। সে কারণে শীতের শুরুতেই পাবনা ভাঙ্গুড়ার ফুটপাথের দোকান গুলোতে গরম কাপুড় কিনতে ভীড় জমাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।
সরেজমিন উপজেলার পৌর সদরের শরৎনগর বাজারের পৌর ভুমি অফিসের সামনের ফুটপাথের গরম কাপুরের দোকান গুলিতে ক্রেতার ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। শীত যত বেশী হবে ক্রেতার ভীড়ও তত বেশী হবে এমন কথাই বলেছেন একাধিক মৌসুমি সেকেন্ডহ্যান্ড শীত বস্ত্র বিক্রেতা।
তারা বলেন, এই শীতে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ বেশী ক্রেতার সাড়িতে। এদিকে দরিদ্র শ্রেণির ও বয়স্ক একাধিক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, ক্ষুধার কষ্টের চেয়ে শীতের কষ্ট অনেক বেশী। দিনে তো ঠান্ডা আছে রাতের ঠান্ডাটা আরও বেশী হয়। তাইতো শীতের শুরুতেই অল্পস্বল্প দামে এক টুকরা গরম কাপুড়ের জন্য এই সেকেন্ডহ্যান্ড ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানে আসা।
এ উপজেলাতে বস্ত্রদান ও দরিদ্রদের বস্ত্র গ্রহণের জন্য মানবতার দোয়াল নামে একটি স্বেচ্ছা সংগঠন রয়েছে যা পরিচালনা করে আমাদের ভাঙ্গুড়া নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা। শীতকে সামনে রেখে এ গ্রুপের একজন পরিচালক বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ছিন্নমুল মানুষ গুলোকে শীত বস্ত্র দেয়ার জন্য আমাদের মানবতার দোয়াল প্রস্তুত আছে। ইতি মধ্যেই আমাদের স্টোকে পর্যাপ্ত গরম কাপুড় রয়েছে যা দুই এক দিনের মধ্যেই মানবতার দোয়ালে টাঙ্গিয়ে দেয়া হবে।
এসময় হৃত দরিদ্রদের শীত বস্ত্র বিতরণের ব্যাপারে মানবিক ভাঙ্গুড়া সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সজল খান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মানবিক ভাঙ্গুড়া ছিন্নমুল মানুষদের শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য সদা প্রস্তুত আছে।
#চলনবিলের আলো / আপন