সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ঘুমন্ত স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ননা দিল ঘাতক

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া এবং সাড়ে তিন বছরের ঘুমন্ত শিশু পুত্রকে নদীতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত আসামি আবুল বাশার।
বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ মওদুদ আহমেদের কাছে ঘাতক আবুল বাশার তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক লোকহর্ষক এ ঘটনার জবানবন্দি গ্রহণ করে ঘাতক আবুল বাশারকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, আবুল বাশারের তিন স্ত্রী। পারিবারিক দ্বদ্ধের জেরধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই ছিলো। এ কারণে তৃতীয় স্ত্রী পপি বেগমকে বেঁদে বহরের নৌকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন বাশার। কিন্তু পপি নৌকা ছেড়ে না যাওয়ায় গত ৪ নভেম্বর তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ জয়ন্তী নদীর রামচর এলাকায় ফেলে দেয় ঘাতক স্বামী আবুল বাশার। একই সময় পপির গর্ভে জন্মগ্রহণ করা সাড়ে তিন বছরের ঘুমন্ত শিশু পুত্র তুহিনকেও নদীতে ফেলে দেয়া হয়। শিশুটিকে নদীতে ফেলে দেওয়ার পর হাবুডুবু করে তলিয়ে যায়। নাবালক শিশুটিকে মুক্তি দিতেই নদীতে ফেলে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করে বাশার।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনার দায় এড়াতে স্ত্রী পপি বেগম শিশু সন্তানসহ নিখোঁজ হয়েছে মর্মে গত ৪ নভেম্বর মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন আবুল বাশার। জিডির তদন্তে গিয়ে আবুল বাশারের অসংলগ্ন কথাবার্তায় তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। পরে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল বাশার লোমহর্ষক হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরবর্তীতে গত রবিবার রাতে জয়ন্তী নদীর নাতিরচর এলাকা থেকে পপি বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু তুহিনের লাশের এখনও কোন সন্ধ্যান মেলেনি। এ ঘটনায় পপি বেগমের ভাই চুন্নু সরদারের দায়ের করা মামলায় সোমবার ঘাতক আবুল বাশারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদীর নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, নিহত পপি বেগম বাবুগঞ্জ উপজেলার রামারচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের ফজলুল হক সরদারের কন্যা। ঘাতক আবুল বাশার ভোলা সদরের বাসিন্দা মোঃ আনসার উদ্দিনের ছেলে। পপিসহ আবুল বাশারের তিনজন স্ত্রী ছিলো। পপি ও বাশার দম্পত্তি ভাসমান বেঁদে বহরের সদস্য ছিলেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।