সোমবার , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশাল নৌ-বন্দর সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

নাব্যতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বরিশাল নৌ-বন্দর সচল রাখতে এবারো লক্ষাধিক ঘণমিটার পলি অপসারন করে নদীতেই ফেলা হচ্ছে। গত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে মূল টার্মিনাল এলাকার পলি অপসারন করে তা কীর্তনখোলার মধ্যভাগ থেকে পূর্ব প্রান্তে অপসারন করা হয়।
যেকারণে কীর্তনখোলা নদীর নৌ-বন্দরের দক্ষিণ অংশের বিশাল এলাকার তলদেশ ক্রমশ উঁচু হয়ে যাচ্ছে। গত ২৫ বছরে এ বন্দর থেকে প্রায় ৩০ লাখ ঘণমিটার পলি অপসারণ করে কীর্তনখোলাতেই ফেলা হয়েছে। ফলে কীর্তনখোলা নদী নগরীর ড্রেন ও খালের পানি গ্রহন করতে পারছে না। এমনকি বন্দরের মূল অংশের অপসারিত পলি কীর্তনখোলার মধ্যভাগে অপসারন করায় দক্ষিণপ্রান্তে ভাটারখাল, চাঁদমারী খাল ও সাগরদী খাল থেকে শুরু করে দপদপিয়া পর্যন্ত নগরীর সাথে সংযুক্ত সবগুলো খালের মোহনাও অনেকটাই উঁচু হয়ে যাওয়ায় নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ২৫ বছর ধরে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ভাগ থেকেই বরিশাল নৌ-বন্দরে নাব্যতা সংকট শুরু হয়। বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবছরই অক্টোবরের মধ্যে বন্দরে ড্রেজিং শুরু করে। এবারো অক্টোবরের শেষভাগ থেকে নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজিং শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং পরিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এমএ মতিন জানান, বরিশাল বন্দর সচল রাখতে এবারো এক লাখ ঘণমিটার পলি অপসারন করা হবে। তবে বন্দরের সামনের পলি নদীতেই অপসারন করায় কীর্তনখোলার তলদেশ উঁচু হয়ে যাবার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মডেল স্ট্যাডি করলেই সমাধান সূত্র মিলতে পারে।
সূত্রমতে, গত প্রায় ২৫ বছর ধরে শুস্ক মৌসুমের শুরুতে এ বন্দরে ড্রেজিং করা হলেও অদ্যবর্ধি কোন ‘মডেল স্ট্যাডি’ করে স্থায়ী সমাধান খোঁজা হয়নি। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিআইডব্লিউটিএ সহ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও কোন অগ্রগতি হয়নি। কয়েক মাস অগে বরিশাল সার্কিট হাউজে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর নাব্যতা নিয়ে জরিপ সংক্রান্ত এক অবহিতকরণ সভায়ও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এমনকি বরিশাল নদী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পেও কীর্তনখোলা নদীর নাব্যতা নিয়ে একটি মডেল স্ট্যাডির কথা থাকলেও পরে আর তা হয়নি।
নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর লক্ষাধিক ঘণমিটার পলি এ নদী বন্দরের সামনে ও পূর্বপ্রান্তে কীর্তনখোলা নদীতে অপসারন করায় তা নদীর প্রবাহ থেকে শুরু করে নগরীর জন্য নতুন সংকট তৈরী করতে শুরু করেছে। প্রতিবছরই বন্দর সচল রাখার নামে এ ড্রেজিং সাময়িকভাবে বন্দরকে নাব্য রাখতে সহায়তা করলেও কীর্তনখোলার প্রবাহসহ এ নদীর একটি বড় এলাকার নাব্যতাসহ নগরীর পয়ঃনিস্কাশনে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি বয়ে আনছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দরের বিষয়টি ক্রমেই সমস্যা তৈরী করতে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে কথা বলতে বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কীর্তনখোলার তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় নগরীর ড্রেন ও খালের পানি নিস্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে স্থায়ী সমাধানের চেষ্ঠা করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।