সোমবার , ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় নারীরা কুমড়ো বডি তৈরিতে ব্যস্ত

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

বড় মাছের যে স্বাদ, এর সঙ্গে কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদ ঢের বেশি হয়। আবার মাষ কালাইয়ের ডালের কুমড়ো বড়ি দিয়ে শুধু ডাল দিয়েই পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। কুমড়ো বড়ি ভেজে ভত্তা করলে এর স্বাদও মুখে লেগে থাকে। এছাড়া শীতকালে তরকারির সঙ্গে কুমড়ো বডির স্বাদই আলাদা। স্বাদের কারনে কুমড়ো বডি চাহিদাও বেশি। তাই আটঘরিয়া পৌর সভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মা চাচিরা শীতকালে কুমড়ো বডি দেওয়ার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

শুধু তাই নয় রাধাকান্তপুর, দেবোত্তর, মিয়াপাড়া, নাগদহ, সড়াবাড়িয়া, কয়রাবাড়ী শ্রীকান্তপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। তারা মইয়ের উপর চিকন বাঁশের খিল দিয়ে তৈরি করা মাচায় সাদা ধবধবে কুমড়ো বড়ি শুকানো হচ্ছে। আবার কোথায় কোথায় রাস্তার পাশে বাঁশের মাচার উপর কুমড়ো বড়ি রাখা হয়েছে। গ্রাম জুরে ধবধবে শুধু কুমড়ো বড়ি। এই গ্রামের নারীরা কেউ বা কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত আবার কেই বা শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।নারীরা জানান, কুমড়ো বড়ির তৈরির প্রধান উপকরন মাষকালাইয়ের ডাল, মাচার কুমড়ো, কালি জিরা ও মসলা। বাজার থেকে কালো জিরা কিনে রোদে শুকিয়ে জাতায় পিষে রাখা হয়। তার পর পানিতে সব উপাদান মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি সম্পাদনা করা হয়।

গৃহিনী রেহেনা, আলেয়া, আনোয়ারা, উর্র্মি, মাজেদা, শরিফা, মনজিলা, আছিয়ার মত অনেকেই জানান, মাচার চাল কুমড়ো মাষ কালাইয়ের ডাল সহ বিভিন্ন উপাদান পানিতে ভিজে রাখি। তারপর সব গুলো নরম হলে পরিবারের সবাই মিলে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে জাতায় বাটা হয়। এরপর গাবলার মধ্যে দিয়ে ভিজানো মাষ কালাই ও কুমড়ো অনেক সময় ধরে মিশানোর পর সাদা ধবধবে হওয়ার পর পাতলা কাপড়ে করে মাচার উপর ছোট ছোট করে বডি দেওয়া হয়। ভালো করে শুকানো হলে কুমড়ো বড়ি সাদা কাপড় থেকে তুলে পাতিলেও বয়েমের কৌটায় রাখা হয়। এসব বড়ি মিরামিস্ তরকারির সাথে খুব মজা লাগে।

শ্রীকান্তপুর গ্রামের আলাউদ্দিন জানান, এই শীতে কুমড়ো বড়ির স্বাদই আলাদা। যা প্রতিটি ছোট বড় মাছের সাথে খুব মজা করে খাওয়া যায়। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ফয়দা লুফে নেয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই কুমড়ো বড়ি বিক্রি করছে। যা স্বাস্থ্য সম্মত না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টি কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।