শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

স্বাধীন বাংলাদেশ – সাজিদুর রহমান সুমন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১
লেখকঃসাজিদুর রহমান সুমন

ছিলনা কোন বিদেশীদের আনাগোনা,বাংলাদেশে ছিলো মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ ধর্মসহ অসংখ্য ধর্মাবলম্বীদের বসবাস।
এছাড়া বাঙালি,চাকমা,মারমা,শাঁওতাল সহ অসংখ্য জাতি উপজাতি নিয়ে একটি রাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতি চলছিলো।
তখন মানুষের অভাব অনাটনে একপ্রকার দূর্বিসহ জিবন কাটছিলো বাংলাদেশীদের,নেতা,বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক মহল কাজ করে যাচ্ছিলেন দেশের মানুষের ক্ষুধা নিবারনের,সেই সময় এতই দুর্ভিক্ষ ছিলো যে মানুষে লাউসিদ্ধ,আটা দিয়ে ফেন্টু,শাঁকপিটুলি ও গমের রুটি খেয়ে বেঁচেছিলেন।এক কথায় যুদ্ধ পরবর্তি মানুষের আরেকটি টিকে থাকার যুদ্ধ ছিলো।

মানুষের এত অভাব অনাটনের মাঝেও রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং বিরোধী দলীয় নেতাদের ক্ষমতায় বসার নানান পায়তারা চলছিলো।
হাসানুল হক ইনুর ভাষ্যমতে বাকশালী শাষন ব্যবস্থা তৈরী হয়েছিলো এদেশে,রক্ষীবাহিনী দিয়ে ক্ষমতায় আজিবন টিকে থাকা বা রাজতন্ত্র কায়েম করার নানান অপকৌশল করা হয়েছিল।জানা যায় সে সময়ে জাসদ সরকারী রক্ষীবাহিনীদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন আরেকটি বাহিনী গোপনে সরকার দলীয় লোক হত্যা করা হয়।
এবং সরকার দলীয় লোকগুলো ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের মানুষকে হত্যা করা শুরু করেন।
অবশেষে বাংলাদেশের কথিত দুষ্কৃতিকারী সেনা সদস্যের হাতে ১৫ই আগস্ট খুন হন সরকার প্রধান বাংলাদেশে স্বাধীনতার অকুতোভয় মহান নেতা শেখ মুজিবর রহমান।

সেখানেই বাংলাদেশের রাজনীতি বা অপরাজনীতি থেমে থাকে নি,বাংলাদেশের বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির সিংহাসন বা ক্ষমতা লাভ করেন,
অভাব অনাটনের দেশে ২৯নামে ধানের জাত নিয়ে এসে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনের স্বপ দেখান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলেন।সেই রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান ও শহীদ হন কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে।

পরবর্তিতে হুসেইন মোঃ এরশাদ ক্ষমতায় বসেন,
দেশের মানুষের দুঃখ দূরদশা কাটাতে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ঘাট ও গ্রাম উন্নয়নে কাজ করে পল্লীবন্ধু খেতাব অর্জন করেন।
কিন্তু তার শৈরচারী মনোভাবের কারনে দেশের মানুষ ঘৃণ্য করতে শুরু করেন।
তখন পল্লীবন্ধু নামের পরিবর্তে শৈরচারী এরশাদ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
ধীরে-ধীরে তার চরমপন্থি মনোভাবের কারনে দেশের মানুষ তাকে বয়কট করেন এবং বাংলাদেশের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হঠাও এরশাদ বাঁচাও দেশ স্লোগান শুরু হয়।অবশেষে সর্বদলীয় জোট গঠন করে বাংলাদেশে এরশাদ শাষনের ইতি ঘটায়।

এরপরে তত্বাধয়ক সরকারের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্রের ধারাবাহিতা রক্ষা এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে বি.এন.পি দলীয় জোট বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার প্রধান করে।সরকার গঠন করা হয়।
দেশে মানুষের কিছুটা খাদ্যের অভাব থাকলেও,স্বাধীন দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা,রাজনীতি,ধর্মনীতি চলমান রাখে।
বি.এন.পি সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়।

আবার তত্বাধয়ক সরকার বাংলাদেশ শাষন করেন।এবং কয়েক বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিক পন্থায় নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ সরকার গঠন করেন।
প্রথমবার জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলেও পরবর্তি দুই আর সম্ভব হয়নি।তখন তারা বিদেশীদের সাহায্যে এবং দিনের ভোট রাতে দিয়ে “মিডনাইট সরকার” খেতাব অর্জন করেন।
বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অসংখ্য ভিডিও পাওয়া যায়।
পুলিশ প্রশাসন সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগীতায় ইসলামের মূল্যবোধে আঘাত এনে,অসংখ্য মানুষকে জেলে পুড়ে,হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে আছেন বর্তমান সরকার।
।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পড়ে ধর্মঅবমাননা সবচেয়ে বেশি হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে।
এছাড়া বর্তমান সবচেয়ে বড় দুটি অপরাধ ৫৭সেনা হত্যা মামলা ও শাপলাচত্বরে অসংখ্য আলেম ওলামা হত্যা ও গুমের অপরাধ রয়েছে।

তাহলে কি বাংলাদেশে কোনদিন ই সুষ্ঠধারার রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে না?
আর বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিঃশ্চিত করতে হলে কি আবারও যুদ্ধ করতে হবে।
নাকি কোন সেনাসদস্যের হাতে খুন হতে হবে সরকার প্রধানকে!

বাংলাদেশের রাজনীতির সেকাল-একাল খুজলে পাওয়া যায় শুধুই অপরাজনীতি।মানুষ হত্যা ও ধর্মের রেশারেশি।বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিক,নিজেদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাক।
বাংলাদেশের মানুষ যেন স্বাধীনভাবে সু্ষ্ঠ ও সু্ন্দরভাবে ধর্ম,বর্ণ নিরিবিশেষে সকলে একসাথে বাঁচতে পারে।
এই আশা ও সু্ন্দর আগামীর প্রত্যাশায় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ