সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গ্রীস্মের বিদায়ে শীতের আগমনী ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু আটঘরিয়ায় লেপ তোষক তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

সারা দেশের মতো আটঘরিয়া উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই লেপ তোষকের কারখানা ও দোকানে শীতের শুরুতে শীত বরণের প্রস্ততি চলছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নিত্য-নতুন অনেক ধরনের শীত বস্ত্র বাজারে থাকলেও লেপ ও তোষক ব্যবহারে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সবার মাঝেই। তাই লেপ তোষক তৈরির কারখানাগুলোতে কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। কারিগররা তুলার স্তুপ করে তার উপর ধনুক দিয়ে আঘাত করে চলছেন। তবে কারণ প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে লেপ তোষকের ব্যবহার।

আটঘরিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হাটে-বাজারে রয়েছে লেপ তোষকের শতাধিক কারখানা ও দোকান। পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে সেই তুলা ঢোকানো হতে থাকে রঙ বে-রঙের কাপড়ের তৈরি লেপ তোষকের কভারে। এরপর শুরু হয় সুই সুতার কাজ। কভার ও তুলা ভেতরে ঢোকানো তুলা ভেদ করে খসখস শব্দ করে চলতে থাকে সুই। সুই সুতার গাঁথুনিতে বাঁধা পড়ে যায় সেই কভার আর তুলা। এতেই তৈরি হয়ে যায় এক একটি লেপ তোষক। উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কারিগররা আপন মনে কাজে ব্যস্ত। কাজের ফাঁকেই চলছে ক্রেতাদের সাথে দরদাম কষাকষি।

গ্রীস্মের বিদায়ে শীতের আগমনী ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে আটঘরিয়ায়। শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে আবহাওয়া। দিনে কিংবা রাতের প্রথমাংশে বেশ গরম কিংবা শীত অনুভূত না হলেও মাঝ রাতে ঠিকই কাঁথা মুড়িয়ে শুইতে হয়। দিনে দিনে শীত আরো বৃদ্ধি পাবে। শীত নিবারনের জন্যে মানুষ নতুন পুরাতন কাপড় কেনার জন্য দোকানগুলোতে ভিড় করছে। তাছাড়া শীতের কবল থেকে র¶া পাওয়ার জন্যে উষ্ণতা ছড়াতে প্রাচীন কাল থেকেই লেপ, তোষক ও কম্বলের জুড়ি নেই। তাই এ সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আটঘরিয়া উপজেলার লেপ তোষক তৈরির কারিগররা।

এছাড়াও ফেরি করে গ্রামে গ্রামে তৈরি করা হচ্ছে লেপ তোষক। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কারখানা বা দোকানগুলোতে লেপ তোষক তৈরির কারিগররা কাজ করছেন। তাদের ধম ফালানোর ফোসরত নেই। লেপ তোষক তৈরির কারিগর আফজাল হোসেন জানান, এখন হাতে বেশ কাজ আছে। আয়ও হচ্ছে ভাল।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন তুলার দাম গার্মেন্ট তুলা ৭০/৮০ টাকা, ফোম তুলা ২০০ টাকা, শিমুল তুলা ৫০০/৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শীত ঘনিয়ে এলে দাম আরো বাড়বে বলে দোকান মালিকরা জানান। বর্তমানে তুলার বাজার ধরে ৫ হাত বাই ৬হাত একটি তোষকের খরচ পড়ে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। ৫ হাত বাই ৬ হাত একটি লেপের দাম পড়ে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। শিমুল তুলা হলে এ খরচ বেড়ে আরো তিন গুন হবে। এ কারণে ¯^ল্প আয়ের লোকেরা শিমুল তুলা এড়িয়ে চলেন। শীতকে সামনে রেখে বাজারের দোকানগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে ফেরিওয়ালারাও।

দেবোত্তর বাজারের দোকানদার মোস্তফা কামাল জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তুলা ও কাপড়ের দাম। তাই ব্যবসায় তেমন একটা লাভ হচ্ছে না। এখন প্রতিদিন কারখানায় ১২ থেকে ১৫ টি লেপ তৈরি হচ্ছে। সারা বছর তেমন একটা কাজ না হলেও এখন শীতের মৌসুম। তাছাড়া শীত জুরেই কাজ থাকে। তবে শীত আরো বাড়লে কাজ আরো বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।