নাটোর বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের চামটা ভেদাগাড়ী গ্রামের একটি জমি নিয়ে কাকা-ভাতিজার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ৩১ শতাংশের এই জমি নিয়ে নাটোর আলাদতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ঐ জমিতে রোপন করা দুই শতাধীক সুপারি গাছের চারা ও কলা গাছ কর্তনের অভিযোগ করেছে ভেদাগাড়ীর মৃত গোলাপ গমেজের ছেলে মি.লিটন গমেজ (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চামটা মৌজার আর.এস খাতিয়ান নং ১৭৪,দাগ নং ৪৫৭১ এর ৩১ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে মি.লিটন গমেজ এবং তার কাকা সুনিল গমেজের মধ্যে। যার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের মধ্যে বড়াইগ্রাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা (বড়াইগ্রাম ১৬৫/২০১৮ অঃপ্রঃ মোকদ্দমা) চলমান আছে। মামলার প্রেক্ষিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
গত ১৭-১০-২০২১ ইং তারিখে সকাল ১০ টার সময় মৃত বালিরাম গমেজ এর দুই ছেলে সুনিল গমেজ (৬০),হিলারিউস গমেজ(৭৫) এবং এলিয়াস গমেজের দুই ছেলে খোকন গমেজ(৩৫),রবি গমেজ(২৫) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে এবং জমিতে রোপন করা ২০০ টি সুপারি চারা গাছ এবং ৮০ টি কলা গাছ কর্তন করে।
গাছ রোপন করা আনারুল বলেন, আমরা চারা গাছ রোপনের কিছুক্ষণ পর সুনিল গমেজ আমার সামনে গাছ উপড়ে ফেলে এবং আমাকে কেসে ফেলানোর হুমকি দেয়। পরবর্তীতে লিটন গমেজ সহ আমরা পুনরায় গাছের চারা রোপন করলে কয়েকজন এসে আবারও চারা তুলে পানিতে ফেলে দেয়।
লিটন গমেজ বলেন,এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। বার বার সমাধানের লক্ষে বসার তারিখ নির্ধারন করলে সে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে হাজির হয় না।আমার ক্রয়কৃত জমিতে আমি চারা গাছ রোপন করি। আমার কাকা সুনিল গমেজ অবৈধভাবে চারাগাছ কেটে আমার দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন