সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভূঞাপুরে টানা ৩৪ দিন আটকে স্কুল ছাত্রীকে  সংজ্ঞবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩৪ দিন আটকে রেখে এক স্কুল ছাত্রীকে গণর্ধষণের অভিযোগ উঠেছে।ধর্ষণের পরে ওই স্কুল ছাত্রীকে ভারত পাচারের উদ্দ্যোগ নেয় পাচারকারী দলের সদস্যরা। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে সে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে স্কুল ছাত্রী। আর ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা জুলহাস শেখ বাদি হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামী করে ট্রাক চালক মাসুম, আসকর মল্লিক, নজরুল মল্লিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে রোববার (১৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কে তদন্তের ভার দেয়।এছাড়া আগামি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
স্কুল ছাত্রী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুরের একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ওই  ছাত্রী। মোবাইলের মাধ্যমে তার পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর গ্রামের আসকরের ছেলে আল আমিনের (২৫) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২১ জুলাই কোরবানীর ঈদের দিন বিকেলে ওই স্কুল ছাত্রী তার মায়ের সাথে নানার বাড়ি ভূঞাপুরের পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামে যায়। সেখান থেকে আল আমিনের টেলিফোন পেয়ে সে নানার বাড়ি থেকে আল আমিনের সাথে ঘাটাইল উপজেলার চেংটা গ্রামে যায়। আল আমিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই বাড়িতে রেখে একটানা ২৫ দিন ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১৫ আগস্ট সে তাঁর আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্কুল ছাত্রীকে নিকে বের হয়ে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসে। বাসস্ট্যান্ডে আল আমিনের বন্ধু পাচার চক্রের সদস্য ট্রাক ড্রাইভার মাসুদের ট্রাকে তোলা হয় স্কুল ছাত্রীকে। ১৬ আগস্ট ভোর ৫টার দিকে যশোরের বেনাপোলের একটি ফাঁকা বাড়িতে স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৩/৪ জন মিলে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ৩/৪ জন লোকের আলাপচারিতায় মেয়েটি বুঝতে পারে যে তাকে ভারতে পাচার করার পরিকল্পনা করছে। পরের দিন সে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ২৫ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে ওখান থেকে পালিয়ে রিক্সাযোগে বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড আসে। পরে সেখান থেকে ২৬ আগস্ট বাড়িতে চলে আসে।
মেয়ের বাবা জুলহাস সেক জানান, আমার মেয়েটি বাড়িতে আসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে ঘটনা অবহিত করি। পরে আসামীদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর আমার মেয়েকে নিয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ করতে যাই। ভূঞাপুর থানা পুলিশ অভিযোগ শুনে মামলা গ্রহণ না করায় আমি আল আমিনকে প্রধান আসামী করে ট্রাক চালক মাসুম, আসকর মল্লিক, নজরুল মল্লিকের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করি।
তবে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবি আকবর হোসেন রানা জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর) টাঙ্গাইলকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালত ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিষেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলার কপি পেয়েছি।তদন্ত করে সময়মত আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।