বহুল আলোচিত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন এর মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল এর বিরুদ্ধে নাবালক ছাত্রী বিয়ের অভিযোগে মাদ্রাসা কমিটি ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করেছেন। তদন্ত টিমকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছেন বলে তদন্ত টিম এর প্রধান এ্যাডহক কমিটির সভাপতি শিক্ষক আঃ জব্বার নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত টিমের প্রধান হিসাবে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি আঃ জব্বার, মাদ্রাসার সুপার ফজলুল রহমান, মাদ্রাসার আরবি শিক্ষিকা মনজুয়ারা খাতুন, পুরুষ অভিভাবক সদস্য মোঃ ইয়াছিন কে নিয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়। অপরদিকে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলাম তার কুকর্মের কথা সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে এলাকা সহ জেলা বাসী জেনে যাওয়ায় ঘটনা ভিন্নঘাতে প্রবাহিত করার জন্য ১ ম স্ত্রী তানিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে নানা রকম বাজে কথাবার্তা বলছেন। অথচ ছাত্রী বিয়ে করার জন্য তানিয়া সুলতানা শিক্ষক খায়রুল ইসলাম কে কোন রকম অনুমতি দেন নি বলে জানা জায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর মাদ্রাসার সুনাম রক্ষাত্থে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ কড়া অবস্থান নেওয়ায় শিক্ষক খায়রুল মোটা টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলে জানা জায়। শিক্ষক খায়রুল ইসলাম অপরাধ ধামাচাপা ও ভিন্নখাত প্রবাহিত করার জন্য ঐ এলাকার এক শ্রেনীর লোকেদের সাহায্যে মোটা অংকের টাকায় মিমাংসা করার চেষ্টাও করছেন বলে জানান অনেকে। এলাকার সাধারণত মানুষের সাথে কথা বললে তারা বলেন লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষক যদি মাদ্রাসায় থাকে তাহলে আমাদের সন্তানদের আর মাদ্রাসায় পড়াবো না। মাদ্রাসার সন্মানটা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে এই খায়রুল, তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্হা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন অনেকে।
#চলনবিলের আলো / আপন