সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়াদের খুঁটির জোর কোথায় ? জানতে চায় সাধারণ জনগণ ও পথচারীরা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ ঈশ্বরদীবাসী, ঈশ্বরদীর পৌর এলাকাবাসী উৎপাত বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ চাই, মহামারির রূপ পাওয়া করোনায় ভালো নেই ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মানুষ, আছে নানান সংকট, সমস্যা।

তবে সব সমস্যা ছাপিয়ে ঈশ্বরদীর হিজড়াদের উৎপাত বেড়েছে, তারা বাসা বাড়িতে জোর করে ঢুকে মোটা অংকের টাকাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী চাঁদা দাবী করে আসছেন।

যদিও হিজড়াদের এই উৎপাত নতুন কিছু নয়, আগে মানুষ যা দিতো তাই নিয়েই খুশি থাকতো হিজড়ারা, কিন্তু ইদানীং তাদের আচরণ বদলে গেছে।

রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে বলে জানান তারা।

তাছাড়া নবজাতক ও শিশুদের জিম্মি করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেওয়াসহ নানান অভিযোগ রয়েছে হিজড়াদের বিরুদ্ধে।

ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্ব নূর মহল্লা
বস্তি পাড়া, পৌর মার্কেট, মাছ বাজার, রেলওয়ে স্টেশন, রেলওয়ে বুকিং অফিস, বাসটার্মিনাল, গোপাল মার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন রোড,বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে নবজাতক পরিবারকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ‌‌ দিন এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ঈশ্বরদীর সাধারণ পথচারীরা,
জানা যায় গর্ভ ধারিনি মা আশপাশের ক্লিনিক‌ থেকে সিজার করে বাসায় আসতে না আসতেই কি ভাবে যেনো তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়ারা জেনে যায়।

অভিযোগ পাওয়া যায় যে টাকা দিতে রাজি না হলে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়ার দল, এবং হিজড়া নিজেকে বস্ত্রহীন করে নিজের ইজ্জত সবাইকে দেখান।

বিভিন্ন এলাকা থেকে হিজড়ারা এসে চাঁদাবাজি করেছে অভিযোগে বলা হয়, মোটা অংকের টাকা ও খাদ্যসামগ্রী দাবী করছে, দাবীকৃত টাকা ও সামগ্রী না পেলে হেনস্থা করেন হিজড়ার দল।

ঈশ্বরদী আমবাগান এলাকার এক বাসিন্দা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান এবং আক্ষেপ করে বলেন, হিজড়ারা কি আসলেই মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি..?
হিজরাদের ইচ্ছামত চাঁদা দিতে হবে আমাদের..?

বাচ্চা পেটে নিয়ে কষ্ট করেন এক গর্ভধারিনী মা এবং কষ্ট করে বাচ্চা হলে, হাসপাতাল থেকে বাচ্চা নিয়ে বাসায় আসার পরেই তারা বাসায় চাঁদা দাবি করেন তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়ারা।

এমনকি সন্তানসম্ভবা জানলেই বাড়িতে এসে মোটা অংকের টাকা দাবী করে যায়, চাঁদা না দিলে বাচ্চা নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়ার দল।

তা দেখে এবং শুনে আগে থেকেই আতঙ্কিত এবং বিরক্ত হয়ে পরেন এলাকাবাসী, পরে হিজড়াদের দাবি অনুযায়ী ১৮০০ টাকা ও ৫ কেজি চাল দিয়ে বিদায় করতে হয় বলে জানান এলাকাবাসী।

আরেকজন ভুক্তভোগী ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বাসিন্দা বলেন , বাচ্চার বয়স ৭ দিন না হতেই একদল হিজড়া এসে হাজির, এবং হট্টগোল শুরু করে
নিজের সম্মান রক্ষার স্বার্থে তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়াদের টাকা দিতে হয় বলে জানান ঈশ্বরদীর সাধারণ মানুষ।

অন্য এক পরিবার জানান, হিজড়াদের জন্য দরজা না খুললে লাথি মেরে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এবং ১০ হাজার টাকা নেবার হুমকি দিয়ে যায় হিজরা দল।

এছাড়া হাট বাজার দোকানপাট শপিং মল
সব জায়গাতেই টাকা দাবি করেন, টাকা দিতে রাজি না হলে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ এবং হেনস্তা করে
থাকেন।

হিজড়াদের অপকর্মে পুলিশ এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে নজিরে‌ নেই বলে জানান ঈশ্বরদীর সাধারণ পথচারীরা।

তবে অভিযোগের ভিত্তিতে হিজড়ারা অপরাধ করলে তাঁদের বিরুদ্ধেও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ঈশ্বরদী ফাঁড়ি পুলিশ।

ঈশ্বরদী ফাঁড়ি পুলিশ আরো বলেন, হিজড়াদের এসব অনাচার ও হিংস্রতা রুখে দিতে অবশ্যই উপজেলা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ
এবং তা বাস্তবায়ন করা উচিত।

যাতে জনসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তাঘাটে চলাচল করার পাশাপাশি উৎপাত ও দুর্ভোগমুক্তভাবে জীবনযাপন করতে পারে সাধারণ মানুষ ও পথচারীরা। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।