শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দিরে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

প্রয়াত জমিদার মোহন লাল সাহার বাড়িতে মহাধুমধামের মধ্যদিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভক্তদের পদচারনায় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। সিংহ মুর্তি খচিত জমিদার বাড়ির এ মন্দিরটি ১৭১ বছরের পুরনো ও তৎকালীন ভারতীয় উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির।
জেলার গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের জমিদার বাড়ির সামনে অবস্থিত এ দুর্গা মন্দিরটি এতদাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ হওয়ায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মহাধুমধামের সাথে এখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জমিদার বাড়ির উত্তরসূরীদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, ১৮৫০ সালে খ্যাতিমান জমিদার মোহন লাল সাহার বাবা জমিদার প্রসন্ন কুমার সাহার উদ্যোগে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। কারুকার্জ খচিত ঐতিহাসিক এ মন্দিরের ছাঁদের ওপরের চারিপার্শ্বের সিংহ মূর্তিগুলো আজো যেন কালের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে। সূত্রমতে, তৎকালীন সময়ে ভারতীয় উপ-মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মন্দির হিসেবে এ মন্দিরটিতে ভক্ত দর্শনার্থীরা পূজা অর্চনা করতে ভীড় করতেন। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমার এ মন্দিরটিতে এখনো পূর্বের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ৩০ গজ দৈর্ঘ্য, ২০ গজ প্রস্থ মন্দিরটিতে রয়েছে নকশা করা ৪৫টি স্তম্ভ। জমিদার মোহল লাল সাহার নাতী প্রভাষক রাজা রাম সাহা জানান, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার ও তাদের স্থানীয় সহযোগি রাজাকাররা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেছিলো। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো পাইক পেয়াদাদের ঘরবাড়ি। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো দুর্গা মন্দিরের অসংখ্য কারুকার্জ খচিত অলংকরণ।
গৌরনদী উপজেলার সদর থেকে প্রায় এক হাজার ফুট দূরত্বে আড়িয়াল খাঁ নদীর প্রশাখা গৌরনদী-মীরেরহাট নদীর তীরে আশোকাঠী গ্রামে জমিদার মোহন লাল সাহার বাড়ি। বাড়ির সামনেই রয়েছে সান বাঁধানো সু-বিশাল দিঘি। জমিদার থাকতেন প্রসন্ন ভবনে। বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রাচীণতম সু-বৃহৎ দুর্গা মন্দিরে আজো ভক্তরা পূজা অর্চনা করে আসছেন।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, একসময় জমিদার বাড়িতে এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের জন্য প্রায় বারো মাস যাত্রা, জারি, সারী ও পালা গানের আয়োজন করা হতো। হাজার-হাজার মানুষের পদচারনায় মুখরিত ছিলো এ বাড়িটি। পুরনো দিনের সেই জৌলুস এখন অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।