সোমবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হত দরিদ্রদের ভিজিডি কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আফছার আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড, মল্লিকচক গ্রামের হতদরিদ্র মোঃ আলম এর স্ত্রী ভিজিডি(১২৭) নং কার্ড ধারী মোছাঃ শাকিলা খাতুনের কাছ থেকে গত কয়েক মাস পূর্বে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান। হতদরিদ্র কার্ড ধারী শাকিলা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। কার্ড ধারী চাউল আনতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার আরিফুল ইসলাম ¯^পন কার্ড কেড়ে নিয়ে হত দরিদ্র শাকিলাকে অপমান অপদস্ত করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন। এরপরে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার স্থানীয় ভাবে ঔ গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেনের মাধ্যমে ভিজিডি কার্ড ধারীকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। স্থানীয় ক্যাডারদের হাত থেকে বাঁচতে কার্ড ধারী ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা সহযোগিতা নেয়। পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ হাজার টাকা দিলে টাকা কম হওয়ায় না নিয়ে ভয়ভিতি দেখিয়ে বলেন ৫ হাজার টাকার একটি পয়সা কম হলে কার্ড কেটে দেব। ৪ মাস পর শাকিলাকে ইউনিয়ন পরিষদের ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বইয়ে টিপসই নিয়ে তিন মাসের তিন বস্তা চাউল বিক্রি করে চাঁদার টাকা আদায় করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার। চার মাস পরে বর্তমান তাকে এক মাসের ১ বস্তা চাউল দিয়েছে বলে ভোক্তভোগী হতদরিদ্র কার্ডধারী শাকিলা জানায়।

এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী মাস্টার বলেন, ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিল কার্ড ধারী শাকিলা ও তার পরিবার। কিন্তু আমাকে টাকা দেয় নাই। তাই আমার মেম্বার তিন মাসের তিন বস্তা চাউল বিক্রি করে টাকা আদায় করেছে ।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান বলেন, ভিজিডি কার্ড ধারীর কাছ থেকে কোন অর্থ আদায় করার নিয়ম নেই, তবে যদি কেউ নিয়ে থাকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ না পেলে আমার কিছু করার নেই, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।