পাবনার ভাঙ্গুড়া বড়াল ব্রীজ রেল স্টেশনের প্রতিদিনের চিত্র এটি। এ স্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস,সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেসের মত ট্রেন দাঁড়ায়, এত গুলো ট্টেন দাঁড়ানোর পরেও ট্রেন ছাড়ার একদিন আগে ও স্টেশনে গিয়ে পাওয়া যায় না টিকেট। কিন্তু একটু বেশি টাকা গুণলেই ব্ল্যাক মার্কেট থেকে পাওয়া যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত যেকোনো ট্রেনের টিকেট। টিকেট কালোবাজারির এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে খোদ রেলওয়ের বিভিন্ন পদে চাকরি করা কর্মচারীরা।
সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে দেখা যায়, শুধু স্টেশনে নয়, স্টেশনের বাহিরে ভ্যান চালক ফল ব্যবসায়ী ,মুদি দোকানদের কাছে টিকেটের কালোবাজারি ব্যবসা চলছে জোরেশোরে। রক্ষকই যেন ভক্ষক হয়ে গিয়েছে। ট্রেনের কর্মচারীরাই দেদারসে চালাচ্ছে এ ব্যবসা। কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। প্রশাসনও যেন নির্বিকার। দেখেও না দেখার ভান করছে তারা। সাধারণ যাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর মত নেই কেউ।
.
.বৃহস্পতিবার সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় চৌবড়িয়া হারোোপাড়া গ্রামের ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার ভিডিপির দলপতি মোঃ সালাম নুর তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, কাউন্টারে টিকিট নাই অথচ দুইজন ভান চালক টিকেট কিনে নিয়ে ট্রেন ছাড়ার আগে সেই টিকেট ব্লাকে বিক্রি করছে। আমার সামনে কমপক্ষে দুই তিনজনের কাছে টিকিট বিক্রি করছে।এদের জন্য কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাওয়া যায় না। টিকিটের মূল্য ২৬৫ টাকা হলেও এরা বিক্রি করে ৩২০/৩৫০ টাকায়।
ট্রেনের কর্মচারীদের এই দুর্নীতিতে বিরক্তি প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, কাউন্টারে টিকিট ছাড়ার সাথে সাথেই এই কর্মচারীরা সবগুলো টিকেট কিনে নেয়। তারপর বাধ্য হয়ে আমাদেরকে তাদের কাছ থেকে চড়া দামে এসব টিকেট ক্রয় করতে হয়। কখনো কখনো এরা স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়েও দ্বিগুণ টাকা দাবি করে বসে। এদের দৌরাত্ম্য আরো বেশি বেড়ে যায় ঈদ, পূজা, বিভিন্ন ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল সময়ে।
.যাত্রীদের এই অসহায়ত্বে পাশে দাঁড়ানোর মতোও যেন কেউ নেই। রেলওয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। বরং প্রশাসনের আশকারা পেয়েই এসব কর্মচারীদের সাহস বেড়েছে দিনকে দিন। রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারির এই দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনের জরুরীভিত্তিতে পদক্ষেপ দাবি করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।
এবিষয়ে স্টেশন মাস্টারের বক্তব্য নিতে গেলে স্টেশনে তালাবন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
#চলনবিলের আলো / আপন