বর্তমান সময়ে মিস্টার বিন এর নাম শোনেনি এমন লোক পাওয়া মুশকিল। মিস্টার বিন এমন একজন কৌতুক অভিনেতা যাকে উনিশ শতাব্দীর শেষের সময় থেকে আজকের সময় অব্দি পৃথিবীর সকল মানুষ ছোট কিংবা বড়ো সকলে ভালোবাসে। মিস্টার বিন দুনিয়াকে প্রমান করে দেখিয়েছেন কমেডি করার জন্য শুধু মিষ্টি কথার প্রয়োজন হয়না। আসল কমেডি সেটাই যা কোনো কিছু না বলেও মানুষকে হাসায় অন্যান্য সফল ও কিংবদন্তী মানুষগুলির মতই মি.বিনকে তার ভিতরের প্রতিভাকে আবিষ্কার করার পরে সেটা সকলের সামনে প্রমান করতে ও প্রসংশা অর্জনে নিরলস পরিশ্রম করতে হয়েছে। মিস্টার বিন নামে বহুল পরিচিত এই মানুষটির বাস্তবিক নাম কিন্তু রোয়ান অ্যাটকিনসন (Rowan Atkinson) অভিনয় জীবনে মিস্টার বিন নামক সিরিজ ধারাবাহিকে অভিনয়ের ও ব্যাপক জনপ্রিয়তায় তার পারিবারিক নামের থেকে মিস্টার বিন নামে তিনি বেশি জনপ্রিয় মি.বিন ওরফে রোয়ান অ্যাটকিনসন জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৫৫ সালের ৬ জানুয়ারী এরিক মে,ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের কনসেটে এক কৃষক পরিবারে।রোয়ান অ্যাটকিনসন এর পিতা ছিলেন এরিক অ্যাটকিনসন যিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন এবং মাতা এলা মে ছিলেন একজন গৃহবধূ।রোয়ান অ্যাটকিনসন এর চার ভাই ছিল এবং তিনি ছিলেন সমস্ত ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ।সেই মিস্টার বিন এর মতো দেখতে আরেক জন মি.বিন গুরু বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের পথে হঠাৎ দেখে কেউ কেউ চমকে উঠছে।বলছি পাবনার বেড়া উপজেলার জাদুশিল্পী রাসেদ শিকদার এর কথা।যিনি মিস্টার বিন এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে জাদু দেখানোর পাশাপাশি খ্যাতি পেয়েছেন বাংলার মিস্টার বিন নামে।দেখতে প্রায় মিস্টার বিনএর মতো। জাদুশিল্পী রাসেদ এর মিস্টার বিন হওয়ার গল্প রাসেদ শিকদারের জন্ম ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানা খানপুরা গ্রামে। বাবা মো:আব্দুল মান্নান শিকদার ও মা মোছা.আসমা বেগম। তিনি ২০০৮ সালে পাইকান্দী খানপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক,২০১৪ সালে পাবনার আমিনপুর কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৮ সালে নাটরের দিঘাপতিয়া এম কে কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমান তিনি পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বিএসএস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। রাশেদ মূলত একজন জাদুশিল্পী।তার জাদুর হাতেখড়ি হয় ২০১০ সালে জাদুশিল্পী প্রিন্স আকাশের হাত ধরে। তারপর তিনি অনেকের কাছ থেকেই জাদু শিখেছেন। এরপর তিনি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাদু বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘চোখের পলকে’ নিয়মিতভাবে জাদু দেখান। বাংলার মিস্টার বিন তথা অনুকরণীয় মিস্টার বিন হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন। মিস্টার বিনকে অনুকরণের কথা কখনো আমার মাথায় ছিল না। আমার শ্রদ্ধেয় জাদুশিল্পী এম রহমান আমাকে একদিন বললেন, রাসেদ তুমি তো জাদুশিল্পী। কিন্তু তোমার চেহারার সাথে মিস্টার বিনের চেহারার মিল আছে।তুমি যদি চেষ্টা করো, তাহলে বাংলার মিস্টার বিন হতে পারবে।রাসেদ বলেন, তারপর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।তবে এটাকে অনুকরণ বলবো না। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি তাকে অনুসরণ করছি বছরখানেক হলো। তিনি আরও বলেন, আমি বাংলার মিস্টার বিন হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার আগে থেকেই লোকে বলতো, আপনাকে দেখতে মিস্টার বিনের মতো লাগে। যারা আমার সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারাও প্রথম দেখাতে মিস্টার বিন বলে আখ্যায়িত করত।তবে ছোটবেলায় কেউ যদি আমায় মি. বিন বলতো,আমার খুব রাগ হতো।এখন সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, বিশ্বের কাছে পরিচিত এমন একজনের চেহারার সাথে আমার চেহারার মিল রেখেছেন।বর্তমানে বাংলাদেশের সব বয়সী মানুষকে সুস্থ ধারার বিনোদন দিতে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আশা করছি অনেক দূর যেতে পাড়বো।
#চলনবিলের আলো / আপন