শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পলাশবাড়ীতে চেয়ারম্যান কর্তৃক জব্দকৃত গাছ চুরি করে বিক্রির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৬নং বেতকাপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, ইউপি সদস্য শাহ আলম ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মকছুদ কর্তৃক জব্দকৃত গাছ চুরি করে বিক্রি ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারণে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানী ও আর্থিক ক্ষতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ১৮’জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে পলাশবাড়ী প্রেসকাবে ভূক্তভোগী গাছ মালিক উক্ত ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত ইয়াকুব উদ্দিন আহমেদের ছেলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, গঙ্গাচড়া, রংপুর মোঃ বেলাল হোসেন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ খ্রি. তারিখে আমি আমার চাচাতো ভাইকে নিজ ঘর সংস্কারের জন্য আমার রোপিত গাছ কর্তনের জন্য বলে দেই। সেই মোতাবেক তাহারা মিস্ত্রি এনে মোট ৯টি গাছ কর্তন করেন। কর্তনের কিছুক্ষন পরেই বেলা অনুমান ১.৩০ ঘটিকায় মোবাইল ফোন মারফত আমার কর্মস্থল থেকে জানিতে পারি যে, আমার কর্তন করা ৯টি গাছের গুড়ি গুলি প্রথমে ইউপি দফাদার আতাউর রহমান ও চৌকিদার দীপলাল বাঁধা দেয়।

 

আমি আরও জানতে পারি উক্ত ইউপি সদস্য শাহ আলম তাহার বাড়ী যাওয়ার রাস্তায় উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিমের নির্দেশে ইউপি সদস্য শাহ আলমের বাড়ীর সামনে রাস্তায় কয়েকটি গাছের গুড়ি নেমে নিয়ে বিক্রি করে দেন। পরে চেয়ারম্যান ফজলুল করিমকে বিষয়টি অবগত করিলে তিনি জানান, গাছের গুড়ি গুলি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আমি একটি অভিযোগ গত ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ খ্রি. তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাখিল করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ৩ জুন, ২০২০ খ্রি. তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ ইব্রাহিম খলিলের মাধ্যমে গত ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ খ্রি. তারিখ সরেজমিনে পরিমাপ অন্তে সীমানা চিহ্নিত করে ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে প্রতিয়মান হয় এবং এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ১লা ডিসেম্বর, ২০১৯ খ্রি. তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত করানো প্রতিবেদনে সরকারী রাস্তা সংলগ্ন গাছ সমূহ ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় জব্দকৃত গাছের মালামাল গুলো মালিককে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর গাছ কর্তনের দিন চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ও ইউপি সদস্য শাহ আলম আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে ১০/১২ জন সাংবাদিক ডেকে ইউপি রাস্তার গাছ হিসেবে চালিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করান।

 

যেহেতু আমি একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, আমার পরিবারে মৃত মা সহ ৭ জন হাজী ও ৪৭ জন সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী এখনও কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত হয়েছে। এসব কারণে আমি সামাজিকভাবে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ও ইউপি সদস্য শাহ আলম একের পর এক বিভিন্ন জনকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করেই চলেছেন এবং উক্ত ইউপির বিভিন্ন রাস্তার গাছ দিনে দুপুরে ও রাতের আধারে কর্তন করে আত্মসাৎ করছেন। এসব কারণে আজ ৬নং বেতকাপা ইউপির সামাজিক পরিবেশ বিনষ্টের পথে। উক্ত চেয়ারম্যান সরকারী ত্রাণের টিন আত্মসাৎ করে তার ঘরে লাগানোর কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান। সে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেই চলেছেন। কোন সচেতন ব্যক্তি এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই তার বিরুদ্ধে তিনি উঠে পরে লেগে যান। অপরদিকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, মাঠেরহাট মকছুদ হোসেন যোগ সাজোস করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদেশ উপেক্ষা করে কাঠের গুড়ি গুলি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললেও ৫২টি গাছের গুড়ির মধ্যে থেকে গত ১৭ জুন, ২০২০ খ্রি. তারিখ বিকেলে ৪০টি গাছের গুড়ি দিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর চান।

 

আমি আমার ৫২টি গাছের গুড়ির মধ্যে ১২টি গুড়ি না পাওয়ায় কোন কাগজে স্বাক্ষর করি নাই। উল্লেখ্য-কর্তনকৃত গাছের গুড়ি গুলি মূল অংশ। আমি আজকে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ও ইউপি সদস্য শাহ আলম এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মকছুদের গাছ চুরি করে বিক্রি ও হয়রানীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানাই। উল্লেখ্য, উক্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার গাছ চুরি থেকে শুরু করে মাঠের হাটের ইজারা চুরির নেশায় এখন মত্ত। এ সময় জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।